ফ্ল্যাশ মিডিয়া নিউজ,২১জুলাই, শিলিগুড়ি: ফের বাড়ল রাজ্যের দৈনিক করোনা সংক্রমণ। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সংক্রমণ বেড়েছে দার্জিলিঙে। অপরদিকে আবার স্বাস্থ্যদপ্তরের চিন্তা বাড়িয়ে কোভিডে মৃত্যুর সাক্ষী থাকল কলকাতা। এদিকে আবার কমেছে রাজ্যের দৈনিক সুস্থতাও। সবমিলিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটেনি। সামান্য কমেছে মৃত্যু।মঙ্গলবার সন্ধের স্বাস্থ্যদপ্তরের রিপোর্ট বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭৫২ জন।
সোমবার সংখ্যাটা ছিল ৬৬৬। মঙ্গলবার সর্বাধিক করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে উত্তর ২৪ পরগনায়, করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮২। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দার্জিলিং, আক্রান্তের সংখ্যা ৭৯। তৃতীয় স্থানে রয়েছেল উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬১। কলকাতায় ৬০ জন।কলকাতা রয়েছেন চতুর্থস্থানে। সবমিলিয়ে মঙ্গলবার রাজ্যের মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫ লক্ষ ১৯ হাজার ৫৯৯ জন। তাঁদের মধ্যে অ্যাকটিভ করোনা রোগী ১২ হাজার ৫০৯ জন।
সোমবারের তুলনায় অনেকটাই কমেছে এই সংখ্যা। রাজ্যের পজিটিভিটি রেট দাঁড়িয়েছে ১.৪৮ শতাংশ।এদিকে মঙ্গলবার রাজ্যে করোনায় মৃত্যুও কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। সর্বাধিক মৃত্যু হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনায়, মৃতের সংখ্যা ২ ও হুগলিতেও মৃত ২। বাকিরা কলকাতা, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, দাঁর্জিলিং, ও জলপাইগুড়ির বাসিন্দা।
মঙ্গলবার রাজ্যে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ২১ জন। মৃত্যু হার হল ১.১৯ শতাংশ। সোমবারের তুলনায় সামান্য কমল রাজ্যের সুস্থতাও। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনামুক্ত হয়েছেন ৯৯২ জন। ফলে রাজ্যে মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা দাঁড়াল ১৪ লক্ষ ৮৯ হাজার ৬৯ জন। ফলে সুস্থতার হার দাঁড়াল ৯৭.৯৯ শতাংশ।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে মঙ্গলবার রাজ্যে ৫০ হাজার ৭১৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা কোভিডবিধি মেনে চলার আবেদন জানাচ্ছেন বারবার। তবে বর্তমানে চিন্তা বাড়াচ্ছে সিকিম। সিকিমের ডেল্টা বাংলায় ঢুকতে পারে সেই কারণেই সিকিম বাংলা সীমান্তে স্বাস্থ্য দপ্তর এবং পুলিশ প্রশাসনের কড়া নজরদারি রাখতে শুরু করেছে। কভিড পরীক্ষার কাগজ ছাড়া বাংলায় নো এন্ট্রি।