জনার্দন রায়,১লা জুলাই,জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের সন্ন্যাসী পাড়া এলাকায় ৯৫ বছরের এক বৃদ্ধাকে ধর্ষনের অভিযোগ উঠলো বছর ৩০ এর এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ি শহরে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সুত্রে জানাগিয়েছে ঐ বিধবা মহিলা তার ছোট ছেলের সাথেই থাকতেন। কয়েকমাস যাবত বার্ধক্যজনিত রোগের ফলে শয্যাশায়ী ছিলেন তিনি ।বৃদ্ধার পাশের ঘরেই থাকতেন ছোট ছেলে সুশীল মন্ডল।
জানা গিয়েছে শুক্রবার রাতে আচমকাই তার মার চিতকার শুনতে পান সুশীল বাবু। ছুটে এসে দেখেন মায়ের মশারির তলায় বিছানায় ঢুকে আছে বিপ্লব সরকার নামে প্রতিবেশী এক যুবক। আপত্তি জনক অবস্থায় তাকে খাট থেকে টেনে নামাতেই ছুটে পালিয়ে যায় সে। হায়রে মাতৃভূমি শ্লীলতাহানী বা ধর্ষণের হাত থেকে রেহাই পেল না ৯০ বছরের বৃদ্ধা মাও!
ঘটনাটি শনিবার সকালে স্থানীয় পঞ্চায়েতকে জানালে এলাকায় একটি শালিসি সভাও বসে। কিন্তু ঐ যুবক ঘরে ঢোকার কথা স্বীকার করলেও কুকীর্তির কথা অস্বীকার করে সভা ছেড়ে চলে যায়। কিন্তু ঐ বৃদ্ধার শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় পুলিশের দারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তার পরিবার এবং শনিবার রাতে কোতোয়ালি থানায় গোটা বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তার ছেলে।
জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় বৃদ্ধার ছেলে অভিযুক্ত বিপ্লব সরকার এর নামে সরাসরি ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন,বৃদ্ধার ছেলে সুশীল মন্ডল বলেন শুক্রবার তখন প্রায় রাত একটা। মায়ের চিৎকার শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে তিনি দেখেন মায়ের ঘরের দরজা খোলা। এর পর ঘড়ের ভেতরে উকি দিতেই দেখেন কুকীর্তিরত অবস্থায় প্রতিবেশী যুবক বিপ্লব সরকার। তাকে টেনে হিচড়ে বিছানা থেকে নামান সুশীল বাবু।দুচার ঘা দিতে না দিতেই পালিয়ে যায় বিপ্লব।
এরপর সকাল হতেই ঘটনার কথা গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য কে জানান হয়। পঞ্চায়েতের শালিসি সভা বসালেও মিমাংসা হয়নি। তাই অবশেষে বিচার চাইতে থানার দারস্থ হন বৃদ্ধার পরিবার। জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে থানায় অভিযোগ দায়ের হবার খবর চাউর হতেই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে অভিযুক্ত।
জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের ডিএসপি সমীর পাল জানিয়েছেন ধর্ষণের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অপরদিকে বৃদ্ধাকে শারীরিক অসুস্থতার জন্য জলপাইগুড়ি হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়েছে।