শিলিগুড়ি,১৮জুন,প্রসেনজিৎ রাহা: শিলিগুড়িতে ফের একটি নামি দামী ল্যাবের নাম করে করোনার ভুয়ো রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছিল। পুলিশের কাছে এই খবর আসতেই জাল ছড়ায় শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্ট। অবশেষে মাটিগাড়া থানার পুলিশ এবং ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্ট এর পুলিশের অভিযানে ধরা পড়ল এক ব্যক্তি।ধৃতের নাম ইন্দ্রজিৎ কুমার।কিছুদিন আগে করোনার ভুয়ো রিপোর্ট দেওয়ার নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে শিলিগুড়ি থানার পুলিশ। এরপর থেকেই করোনার রিপোর্টের দিকে নজর রাখছিলো পুলিশ। বিভিন্ন সূত্রে পুলিশের কাছে খবর আসছিল বাড়িতে গিয়ে স্যাম্পল কালেকশন করে ভূয়া রিপোর্ট দিচ্ছে একটি চক্র।
বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সূত্রে ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্ট এর কাছে করোনার ভূয়া রিপোর্ট দিচ্ছে এক ব্যক্তি এমন খবর আসার পর বৃহস্পতিবার রাতেই শিবমন্দির থেকে ইন্দ্রজিৎ কুমার নামে এক ব্যক্তিকে বমাল গ্রেপ্তার করে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের মাটিগাড়া থানা ও ডিটেক্টিভ ডিপার্টমেন্ট।ধৃতের কাছ থেকে একটি ল্যাবের প্রচুর কাগজ পাওয়া গিয়েছে।
পুলিশ জানতে পেরেছে করোনার সময় থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করতো ইন্দ্রজিৎ।এরপর ভুয়ো রিপোর্ট তৈরি করতো সে।শুক্রবার তাঁকে শিলিগুড়ি আদালতে তুলে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির ঘোগোমালি চয়নপাড়া মেইন রোডে একটি ওষুধের দোকান ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টার ছিল।যা কয়েকমাস ধরে বন্ধ ছিল।সম্প্রতি অবৈধ ল্যাবগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গেও আলোচনা করেছিলেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। এভাবে ভুয়ো রিপোর্টের জেরে আখেরে সমস্যায় পরছেন সাধারণ মানুষ।যেকারণে তাঁদের সচেতন হওয়ার কথা বলছেন চিকিৎসকেরা। পুলিশের সন্দেহ এই ব্যক্তির সাথে আরও অনেকে জড়িয়ে আছে। আর এই কারনেই অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিদের কাছে পৌঁছতে চাইছে পুলিশ।