ফ্ল্যাশ মিডিয়া নিউজ, ১৫ সেপ্টেম্বর, জলপাইগুড়ি: রক্তের বিনিময়ে টাকা চাইতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লো দুই ব্যক্তি, জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালেই অভিযুক্তদের ধরে উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিল জলপাইগুড়ির একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা।
মঙ্গলবার বিকালে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে হাতেনাতে ধরা পড়ে রক্তের দালাল চক্রের এক সদস্য। এক রোগীর পরিবারের কাছের রক্তের জন্য ঐ ব্যক্তি তিন হাজার টাকা চেয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর ওই রোগীর আত্মীয় স্বজন বিষয়টি জানায় জলপাইগুড়ির একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে।
বেশ কিছুদিন ধরেই অভিযোগ আসছিল জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালের আশেপাশেই ঘোরাঘুরি করে রক্তের কালো কারবারিরা। মঙ্গলবার ওই চক্রের খোঁজ মিলতেই রোগীর পরিবার বিষয়টি জানায় শহরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কে।
খবর পেয়ে জলপাইগুড়ির ঐ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্ণধার অংকুর দাস ঘটনাস্থলে এসে হাতেনাতে ধরে ফেলেন সেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে। এরপর অভিযুক্তকে উত্তম মধ্যম দেন তিনি। হাসপাতাল চত্বরেই অভিযুক্তর জামার কলার ধরে চলে মারধর। অনেকটা সিংহাম স্টাইলে।
অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে না দিয়ে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা আটকে রেখে মারধোর করে বেশ কিছুক্ষণ। অভিযুক্তকে ধরা হয়েছে খুব ভালো কথা, কিন্তু তাকে পুলিশের হাতে তুলে না দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ আটকে রেখে মারধর করাটা একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদের সম্পর্কের সমাজে কি বার্তা দিল তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
কারন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদের মারপিট করার ঘটনা টিকে ভালোভাবে দেখছে না শহরের সাধারণ মানুষ। আর সেই মারপিটের ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। বেশ কিছুক্ষণ বাদে গোটা বিষয়টি ফোন করে জানানো হয় জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশকে।
তারপর পুলিশ এসে নিয়ে যায় অভিযুক্তকে। গোটা ঘটনায় একদিকে যেমন জলপাইগুড়ি হাসপাতালে রক্তের দালালচক্রের ঘটনার সত্যতা প্রমাণ মিলল, অপরদিকে শহরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদের আইনকে হাতে তুলে নেওয়ার ঘটনা নিয়েও উঠল প্রশ্ন।