শিলিগুড়ি,১১জুন,প্রসেনজিৎ রাহা: ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া মালদার কালিয়াচক থেকে ধৃত হান জানুইকে জিজ্ঞাসাবাদে মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিএসএফ সূত্রে খবর, ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অফিসাররা এক প্রকার নিশ্চিত, হান জানুই চিনা গুপ্তচর। শুক্রবার ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে এনআইএ।ধৃত হান জানুইকে নিয়ে ইতিমধ্যে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে বিএসএফ। কলকাতায় বিএসএফ-এর দফতরে সেই রিপোর্ট পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। রিপোর্টে হান জানুই কে ‘ওয়ান্টেড ক্রিমিনাল’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ধৃতের কাছ থেকে মিলেছে চিন, বাংলাদেশ ও ভারতের একাধিক সিম কার্ড, টাকা পাঠানোর মেশিন, মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রা ও ভারতের টাকা। বাজেয়াপ্ত হয়েছে তার মোবাইল, ল্যাপটপ ও পাসপোর্ট। জানা গিয়েছে, ২ জুন বিজনেস ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন চিনের হুবাই প্রদেশের বাসিন্দা হান জানুই। এরপর ভারতে অনুপ্রবেশ করে সে।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ২০১৯-এর পর থেকে তিনবার ভারতে এসেছিলেন তিনি। গুরুগ্রামের স্টার স্প্রিং হোটেলে ছিলেন তিনি। হান জানুইয়ে এক শাগরেদ সান জিইয়াংকে কিছুদিনের আগেই লখনউ থেকে গ্রেফতার করেছে এটিএস। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ১০ থেকে ১৫টি সিমকার্ড। স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে কালিয়াচকের মিলিক সুলতানপুর এলাকায় এক ব্যক্তিকে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাকে দেখে সন্দেহ হওয়ায় বাংলাদেশ সীমান্তে কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানদের বিষয়টি জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
এরপরই ওই চিনা নাগরিককে আটক করা হয়। খবর পৌঁছয় কালিয়াচক থানায়। শেষপর্যন্ত ধৃতকে পুলিসের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ। এরপরই উঠে আসে এইসব চাঞ্চল্যকর তথ্য। কিন্তু কী কারণে এই চিনা গুপ্তচর বাংলায় এসেছিল? সেই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে পুলিশ প্রশাসন এবং সামরিক বাহিনীর মধ্যে।