শিলিগুড়ি,২৫মে,প্রসেঞ্জিত রাহা: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল গোটা দেশের পাশাপাশি বাংলাও। অব্যাহত করোণার সংক্রমণ এবং মৃত্যুর ঘটনা। করোনার সংক্রমণ রুখতে রাজ্যে লকডাউন এর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। লোকাল ট্রেনও বাতিল করেছে রাজ্য সরকার। অপরদিকে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের বেশকিছু রেল বাতিল করেছে। লকডাউন ও করোনার এর কারণে উত্তরবঙ্গে আসছেন না পর্যটকরা। করোনার সংক্রমণ এর কারোনে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সমস্ত পর্যটন কেন্দ্র। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি
সরকারি কর্মীরাও সংক্রমিত হচ্ছেন কাজ করতে গিয়ে।এর প্রভাব রেলেও পড়েছে।আর তাই সংক্রমণ এড়াতে ইতিমধ্যে একাধিক ট্রেন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। শিলিগুড়ি উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার। এখান থেকেই নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ তো বটেই সিকিম, অসম, বিহার সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের যেকোন স্থানে যাওয়া যায়। সেইকারনেই যথারীতি সারা বছরই পর্যটকদের ঢল নামে শিলিগুড়ি শহরে। আর পর্যটকদের উপরই নির্ভর করে অনেকের জীবনধারণ।
নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশন শুধু রাজ্যের নয়। গোটা দেশের মধ্যেও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম রেল স্টেশন। ওই রেল স্টেশন থেকে ৮৮ টি যাত্রীবাহি ট্রেন চলাচল। যাত্রীদের বোঝা কাঁধে তুলেই কিছু টাকা রোজগার করে জীবনযাপন করে থাকে রেল স্টেশনের কুলিরা। এনজেপি রেল স্টেশনে রেল কর্তৃপক্ষ অনুমোদিত কুলির সংখ্যা ১০৩ জন। কিন্তু হাতেগোনা কয়েকটি ট্রেন চললেও তাতে দেখা নেই যাত্রীদের। এতে এই করোনা পরিস্থিতিতে সংসার কীভাবে চালবে তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে কুলিদের মধ্যে।
এই অবস্থায় রেল কর্তৃপক্ষ, কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার তাদের আর্থিক সহযোগিতা করুক এই আবেদন জানাচ্ছেন তারা। এনজেপি স্টেশনের কুলিরা বলেন, বেশিরভাগ ট্রেন বাতিল। দু একটা ট্রেন যাও আসছে তাতে যাত্রীর দেখা নেই। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত স্টেশনে থেকে কেউ একশো টাকাও আয় করতে পারছেনা। এই অবস্থায় সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে কুলিরা। বর্তমানে তারা এদিক ওদিক থেকে ঋণ ধার করে সংসার চালাচ্ছেন। কিন্তু এইভাবে কতদিন চালাবেন তারা সংসার। সরকার তাদের আর্থিক সহযোগিতা করলে তারা খেয়ে বেঁচবেন বলেই যানান। কবে স্বাভাবিক হবে গোটা দেশ? কবে বিদায় নেবে করোনা?এখন সেদিকেই তাকিয়ে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন এর মতন গোটা দেশের হাজার হাজার কুলিরা।