শিলিগুড়ি, ২রা জুন,ফ্ল্যাশ মিডিয়া নিউজ ডেস্ক:
রাজ্যে মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে মৃত্যু হল আরও এক প্রৌঢ়ার। মঙ্গলবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।হাসপাতাল সূত্রে খবর, ষাটোর্ধো ওই প্রৌঢ়া কিছুদিন আগে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেই সময় তাঁকে স্টেরয়েড দেওয়া হয়। করোনামুক্ত হওয়ার পর ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হন তিনি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, করোনা চিকিৎসায় অনিয়ন্ত্রিত স্টেরয়েডের ব্যবহার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়৷ সেখান থেকেই শরীরে ঢুকে পরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। তবে এই ফাঙ্গাস ছোঁয়াচে নয়।
যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে এবিষয়ে কিছু জানানো হয়নি৷ মিউকরমাইসোসিস আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে দক্ষিণ বঙ্গের তিন জেলায়। এই মুহূর্তে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে পাঁচ জন রোগী বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ওই পাঁচ জন বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রাম জেলার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে৷
এদিকে করোনা মহামারীর মধ্যেই বিভিন্ন ফাংগাল ইনফেকশন এর খবর উদ্বেগ বাড়িয়েছে। ব্ল্যাক ও হোয়াইট ফাংগাস এর পর, এবার চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ইয়েলো ফাংগাস। অনেক চিকিৎসকের মতে এই করোনা প্যানডেমিকের এর আগেও এই ফাংগাল ইনফেকশন গুলির অস্তিত্ব ছিল, কিন্তু জনসাধারণ এই ব্যাপারে জানতেন না।
তাই চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নাক বন্ধ, নাক থেকে কালো পুঁজ বেরোলে, চোয়ালে ব্যথা বা অবশ হয়ে গেলে শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস প্রবেশের উপসর্গ বলে মনে করা হয় ।এমন উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে প্রতিটি হাসপাতালকে জানানো হয়েছে, কোনও রোগীর মধ্যে এমন উপসর্গ দেখা দিলেই তাঁর সম্পর্কে সমস্ত তথ্য দ্রুত স্বাস্থ্য আধিকারিকদের পাঠাতে হবে।