শিলিগুড়ি,২৫মে,গৌতম সিংহ রায়: ভিন রাজ্যে নদীতে মৃতদেহ ভেসে থাকার ছবি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখার পর থেকেই ভিন রাজ্যের মাছ খাওয়া ছেরেছে বাঙালি। নদীর মৃতদেহের সাথে মাছের কোন সম্পর্ক নেই বলে মৎস্য ব্যবসায়ীরা বারবার দাবি করলেও মাছ প্রিয় বাঙালি বিষয়টি মানতে নারাজ। আর এই কারনেই বিগত এক সপ্তাহ যাবত মৎস্য ব্যবসায় হাহাকার। ভিন রাজ্য থেকে মাছ আমদানি করা বন্ধ করে দিয়েছেন রাজ্যের মৎস্য ব্যবসায়ীরা। কারণ বাজারে মজুদ থাকা মাছ কিনতে নারাজ মাছ প্রিয় বাঙ্গালী। আরতে মজুদ থাকা মাছ
কম দামে মাছ বিক্রি করতে নেমেও মাছ বিক্রি করতে পারেননি মৎস্য ব্যবসায়ীরা।ফেলা গেছে প্রচুর মাছ। তবে এই সময়ে চাহিদা বেড়েছে স্থানীয় মাছের। কিন্তু লকডাউন চলায় সরকার নির্দেশ দিয়েছে সকাল 7 টা থেকে 10 টার মধ্যে বেচাকেনা করতে হবে। যোগান কম থাকলেও বেশ ভালই বিক্রি চলছে লোকাল মাছের। শিলিগুড়ি শহর লাগোয়া গজলডোবা সহ বিভিন্ন এলাকায় চাষ হয় মাছের। পাশাপাশি উত্তরের বিভিন্ন নদীর মাছেরও চাহিদা বেড়েছে।
কিন্তু দোকান খোলার যে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে সরকার ওই অল্প সময়ের মধ্যে বাজারে সব মাছ বিক্রি করতে পারছেন না তারা। শিলিগুড়ি শহর লাগোয়া ফুলবাড়ি ব্যারেজ সংলগ্ন এলাকার মৎস্যজীবীরা বললেন, করোনার আতঙ্কে অনেকে বড় মাছ খাচ্ছেন না। তাই স্থানীয় নদীর মাছের চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু লকডাউনের কড়াকড়ির জন্য সকালে মাত্র তিন ঘন্টা বাজারে সব মাছ বিক্রি করা যাচ্ছে না। তাই ছোট মাছের চাহিদা বাড়লেও মৎস্যজীবীদের লাভ নেই। তবুও তারা চেষ্টা চালাচ্ছেন ওই সময়ের মধ্যেই যতটা সম্ভব মাছের জোগান দেওয়ার। সকালবেলায় শিলিগুড়ি শহর সংলগ্ন ফুলবাড়ির মহানন্দা ব্যারেজ এ অনেকেই নামছেন মাছ ধরতে। সেখান থেকে মাছ ধরে ব্যারেজের পাশেই রাস্তার উপরে মাছের পসরা সাজিয়ে বিক্রি করছেন তাজা মাছ।