শিলিগুড়ি,২৩মে, জয়া রায়,তনময় চক্রবর্তী: অর্থনৈতিক ধসের মুখে পড়েছে গোটা বিশ্ব। অর্থনৈতিক সংকটের এই ঢেউ গোটা দেশের পাশাপাশি পড়েছে রাজ্যতেও। একদিকে করোনা সংক্রমণ, অপরদিকে তা রুখতে লকডাউন এর জেরে সর্বস্বান্ত আমজনতা। লকডাউন এর কারণে বন্ধ ব্যবসা-বাণিজ্য, হোটেল রেস্তোরাঁ,শপিংমল সিনেমাহল। নানান ব্যবসার পাশাপাশি লকডাউন এর কারণে মুখ থুবড়ে পড়েছে শিলিগুড়ির এনজেপি স্টেশন এর প্রায় শতাধিক হোটেল ব্যাবসাও।
বিগত এক বছরের বেশি সময় ধরে করোনা সংক্রমণ আমাদের কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে। দুই হাজার কুড়ি সালের নভেম্বর থেকে 2021 সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে না হতেই আবারও দুই হাজার কুড়ি সালের চেহারা নিয়েছে 21এর ভারত বর্ষ। করোনা সংক্রমণে রাশ টানতে রাজ্যে লকডাউন এবং নাইট কার্ফু ঘোষনা করেছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি বিধি-নিষেধ আনা হয়েছে নানান ক্ষেত্রে। আপাতত ৩০ মে পযর্ন্ত বন্ধ থাকবে শপিংমল, সিনেমাহল, রেস্টুরেন্ট, বার,স্পা, বিউটি পার্লার, সহ গন পরিবহনও। লোকাল ট্রেন, মেট্রো, বাস, লঞ্চ পরিষেবা বন্ধ রয়েছে রাজ্যে।আর তাতেই বিপাকে পড়েছেন অনেকেই। ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় আসছেন না পর্যটকেরা। পাশাপাশি করোনার কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বেশিরভাগ পর্যটন কেন্দ্র। আর এই কারনেই শুনশান নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন চত্বর।
আর এই সমস্ত কারণেই নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের হোটেল ব্যবসায়ীদে ব্যাবসায়িক মেরুদন্ড পুরোপুরি ভেঙ্গে পরেছে। সকাল,দুপুর,সন্ধ্যা মাঝে মধ্যেই হোটেল মালিকদের বন্ধ হোটেলের বাইরে দেখা যায়।জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যায়,
অর্থনৈতিক সংকটের মুখে প্রত্যেক হোটেল ব্যবসায়ীরা। বড় হোটেল গুলোতে ৮ থেকে ৯জন করে কর্মী কাজ করত। সেই কর্মী গুলোকেও ছাঁটাই করা হয়েছে৷ কারণ করোনার দ্বিতীয় প্রকোপে করাকড়ি লকডাউনে পরিবহন এবং খাবারের দোকান খোলার ক্ষেত্রে আনা হয়েছে বিধি নিষেধ।
আগে, কোথাও যাওয়ার আগে বা কোন জায়গা থেকে ফেরার পর যাত্রীরা বা পর্যটকেরা এনজেপি স্টেশন চত্বরের হোটেল গুলোতে খাওয়া-দাওয়া করে বের হতো। হোটেলে জমজমাট ভির লক্ষ্য করা যেত। কিন্তু আজ সেই হোটেল গুলো পরিণত হয়েছে ভুতুড়ে গলিতে। কোন কোন হোটেল ব্যবসায়ীরা তারদের হোটেলের জিনিসপত্র বিক্রি করে দিয়ে হোটেলের ভাড়া মেটানো অথবা হোটেল ছেড়ে দিয়ে চলে যাচ্ছেন।
করোনা যেভাবে রূপ বদল করে আমাদের মাঝে ফিরেছে এবং যেভাবে দিন প্রতিদিন করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাচ্ছে। তাতে আগামী ৩০মে লকডাউন পর্যন্ত পরিস্থিতি যে স্বাভাবিক হওয়ার নয়, তা বলাই বাহুল্য। তার ওপর গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস।
সেই জায়গায় হোটেলের মালিক এবং কর্মীদের সংসার চলবে কিভাবে? এই প্রশ্নের চিন্তাই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে হোটেলের ওপর নির্ভরশীলকারি পরিবারগুলোর। কবে শান্ত হবে বিশ্ব। কবে ফিরবে আবার সেই দিন। এখন সেই অপেক্ষায় হাজার হাজার মানুষ।