শিলিগুড়ি,১৫জুন,সুস্মিতা সাহা বিশ্বাস, তন্ময় চক্রবর্তী: কথায় বলে মাছে ভাতে বাঙালি। তার ওপর যদি হয় তাজা মাছ তাহলে তো কথাই নেই। পেটপুরে মাছ ভাত খাওয়া বাঙালির জুড়ি মেলা ভার। যদিও বেশ কিছুদিন আগে গঙ্গায় মৃতদেহ ভেসে থাকার খবর মিলতেই খাদ্য রসিক বাঙালি বড় মাছের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। কিন্তু মাছ ছাড়া বাঙালির যে খাওয়াই হয় না তাই অবশেষে ছোট তাজা লোকাল মাছই এখন ভরসা আপামর বাঙালির। এই মাছ কিনতে সকাল হতেই বাজারে ভিড় করেন খাদ্য রসিকেরা। শিলিগুড়ির শহরে সংলগ্ন ইস্টার্ন বাইপাসের জলেশ্বরী বাজার কার্যত তাজা মাছের জন্য শহরবাসীর কাছে পরিচিত। এই বাজারে সমস্ত রকম তাজা মাছ পাওয়া যায়।
বর্তমান পরিস্থিতিতে চালানি মাছের দিক থেকে ঝোঁক কমেছে খাদ্য রসিকদের। তাই জ্যান্ত মাছই এখন একমাত্র ভরসা। শিলিগুড়ির শহর লাগোয়া ডাবগ্রাম ফুল বাড়ির অন্তর্গত জলেশ্বরী বাজারে প্রতিদিনই তাজা মাছের পরসা সাজিয়ে বসেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা। গাজলডোবা থেকে মৎস্য ব্যবসায়ীরা ওইসব জ্যান্ত মাছ নিয়ে এসে জলেশ্বরী বাজারে তা বিক্রি করেন। আর এই মাছ কিনতে সকাল থেকেই ভিড় জমায় শিলিগুড়ি শহরে বিভিন্ন এলাকার মানুষেরা।
বাজারে আসা এক ক্রেতা বললেন তাজা মাছ কিনতে তিনি দেশবন্ধু পাড়ার থেকে সকাল-সকাল গাড়ি নিয়ে ছুটে আসেন জলেশ্বর বাজারে। সপ্তাহে তিন-চারদিন দিন এই বাজার থেকেই তাজা মাছ কিনে নিয়ে যান তিনি।অন্যদিকে মৎস্য ব্যবসায়ীরা বলেন জলেশ্বরী বাজার তাজা মাছের বাজার বলেই পরিচিত। তাই সকাল হলেই জলেশ্বরী বাজারে জ্যান্ত মাছ কিনতে ভিড় জমান ক্রেতারা
। দাম একটু বেশি হলেও ক্রেতারা জ্যান্ত মাছই কিনছেন ।আরো এক ক্রেতা বাবলু সাহা বলেন, তিনি সংহতি মোড় থেকে মাঝেমধ্যে জলেশ্বরী বাজারে আসেন তাজা মাছ কিনতে। লোকাল তাজা মাছ ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়াতে সাহায্য করে তাই তিনি প্রায়ই এই বাজারে আসেন জ্যান্ত মাছ কিনতে।
সব শেষে বলতেই হয় বাঙালির পাতে মাছ থাকবে না তা কি হয় কখনো? তাই দাম বেশি হলেও মাছ চাইই চাই। মাছ ছাড়া খাদ্য রসিক বাঙালির রসনা তৃপ্তিই হয় না।