প্রসেনজিৎ রাহা,২৭ আগস্ট, শিলিগুড়ি: সুরাপ্রেমীদের জন্য সুখবর। আগামী মাস অর্থাৎ সেপ্টেম্বর থেকে কমতে পারে মদের দাম। হ্যাঁ এই পথেই হাঁটছে রাজ্য সরকার বলেই খবর। সেই লক্ষ্যেই মদের উপর চাপানো কর পরিকাঠামোয় বদল আনতে চাইছে রাজ্য। ইতিমধ্যে অর্থদপ্তরে সেই নয়া কর কাঠামোর খসড়া জমা করেছে রাজ্য আবগারি দপ্তর।
এমনটাই খবর সরকারী সূত্রে।করোনা আবহে একধাক্কায় অনেকটা বেড়ে গিয়েছে মদের দাম। বিশেষ করে বেড়েছে বিদেশি মদের দাম। ফলে মদবাবদ রাজস্ব আদায় কিছুটা কমেছে বলেও দাবি আবগারি বিভাগের। মূল্যবৃদ্ধির ফলে কমে যায় মদের বিক্রিও। পাশাপাশি, অন্যান্য রাজ্য থেকেও চোরাপথে বাংলায় মদ ঢুকছে বলেও খবর রয়েছে।
এবার সেই পরিস্থিতিতে বদল আনতে চাইছে রাজ্য প্রশাসন। তাই অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে তুলনা করে এবার মদের দাম কমানোর পথে হাঁটছে রাজ্য সরকার।সূত্রের খবর, আবগারি দপ্তর মদের উপরে নতুন করের কাঠামো তৈরি করে অর্থদপ্তরের কাছে পাঠিয়েছে। যদি অর্থদপ্তর নতুন কর কাঠামোকে ছাড় দেয়, তবেই কমবে মদের দাম।
তাহলে আগামী মাসের মধ্যেই মদের দাম কমে যাবে বলে মনে করছেন আবগারি দপ্তরের আধিকারিকরা। রাজ্য সরকারের নয়া কর পরিকাঠামো গৃহীত হলে রাম, হুইস্কি, স্কচের মতো মদের দাম কমবে। তবে বাড়বে দেশীয় মদের দাম। প্রায় ১০০ থেকে ২০০ টাকা বাড়তে পারে এই ধরনের মদের দাম।গতবার লকডাউনের সময়ও লম্বা লাইন পড়েছিল মদের দোকানে ।
কেউ কেউ তো আবার মদের জ্বালা ভুলতে অ্যালকোহলযুক্ত স্যানিটাইজারও খেয়ে বেঘোরে প্রাণ দিয়েছেন। সুরাপান নিয়ে গোটা দেশে যৌথসমীক্ষা চালায় ICRIER এবং আইনি পরামর্শদাতা সংস্থা পিএলআর চেম্বার্স। তাতেই বাংলা সম্পর্কে এক চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে।
সমীক্ষা বলছে, মদ্যপানের নিরিখে দেশে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলা। প্রথমে যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশ। বাংলার প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষ সুরা পান করেন। তাই এই বিভাগ থেকে আসে প্রচুর রাজস্বও। সমীক্ষার ফল বলছে, মদ বাংলায় শীর্ষ তিনটি কর বাবদ আদায়ের অন্যতম একটি।
তবে সম্প্রতি মদের দামের পরিবর্তন করা হয়। যার জেরে ইন্ডিয়ান মেড ফরেন লিকারের দাম পরিবর্তন হয়েছে। তার জেরে বেশ কিছুটা কমেছে বিদেশি মদের বিক্রি। তবু সুরাপান থেকে বিরতি নেই এই রাজ্যে।