গরীব ঠাকুমার স্বপ্ন হল বাস্তবায়িত।ধুমধামের সঙ্গে বিয়ে হল নাতনির।সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিল সৃষ্টি ফাউন্ডেশন।গরীব নাতনিকে সাত পাকে বেধে দিল শিলিগুড়ির একটি স্বেচ্ছাসেবি সংস্থা।
শিলিগুড়ি সংলগ্ন পুর্ব শান্তিপাড়ার বাসিন্দা ঠাকুমা বিশাখা রানী সরকার।পিতৃ-মাতৃহীন নাতনি দীপান্বিতা ,ও এক নাতিকে নিয়েই হত দরীদ্র সংসার তার। ছোটবেলায় মা মারা গেছেন ,বাবাও কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে পরিবারের মায়া ত্যাগ করেন।ঠাকুমা গেটবাজারে একটি ছোট চায়ের দোকান ও সরকারি সাহায্য নিয়েই ভরণপোষন তাদের।একমাত্র নাতনিকে পড়াশুনা শিখিয়ে ভালোভাবে বিয়ে দেওয়াই লক্ষ্য তার।ইতিমধ্যেই পাত্রও ঠিক করে ফেলেছিলেন নাতনির জন্য।তবে বিয়ের খরচ বহন করাই দায় ছিল তার।কি ভাবে বিয়ে সম্পন্ন করবেন তা নিয়েই চিন্তায় মাথায় হাত পড়েছিল অসহায় ঐ ঠাকুমার।
এরই মাঝে এই করুন খবর পেয়েই ভগবানের দুত হয়ে তাদের পাশে সাহায্যের ঝুলি নিয়ে হাজির হলেন ডাব গ্রাম ফুলবাড়ি এলাকার ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা।বিয়ের সমস্থ খরচ বহনের অঙ্গিকার বদ্ধ হলেন তারা।সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী শুক্রবার সেই ঠাকুমার নাতনির বিয়েতে হাজির থেকে সুষ্ঠ মতো বিয়ে সম্পন্ন করলেন সংস্থার সদস্যরা।
বিয়ের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা কাটি থেকে শুরু করে, উপহার এবং খাওয়া দাওয়া সবটার খরচই বহন করেন ঐ সংস্থা।শুধু তাই নয় নিজের হাতে খাবার পরিবেশন থেকে সাত পাক ঘুরালেন ঐ ফাউন্ডেশনের সদস্যরা। দীপান্বিতার বিয়েতে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে করা
মেনুতে ছিল মাছ,ডাল,ভাজা,সবজি মিষ্টি।নিমন্ত্রিত ছিলও প্রায় বেশ কয়েক জন। তবে কোভিদ নীতি মেনে। ওই স্বেচ্ছাসেবী
সংস্থার প্রধান গৌতম গোস্বামী জানান, স্বপ্ন পুরন হওয়াতে খুশি ঠাকুমা বিশাখা রানী সরকার।
এর থেকে বড় আশীর্বাদ আর কিছু হয়না।
সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়া ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার গৌতম গোস্বামী,মতিন চন্দ্র রায় সহ সংস্থার সকল সদস্য ও সদস্যারা উপস্থিত থেকে বিয়ের সমস্ত কাজকর্ম সম্পন্ন করেন।