শিলিগুড়ি,১০মে,ফ্লাশ মেডিয়া নিউজ ডেস্ক:
গোটা বিশ্ব জুড়ে চলছে করোনার দাপট। বিশেষজ্ঞরা জানান পরামর্শ দিয়েছেন কিভাবে করোনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে সে বিষয়ে। আর সেই কারণে আমরা এখন সতর্ক। কিন্তু
করোনা থেকে বেঁচে আসার পর অর্থাৎ
করোনা নেভেটিভ হওয়ার পর আমাদের কি করা উচিত জানেন কি?করোনার উপসর্গ ধীরে ধীরে চলে গেলেও অনেকদিন ধরে দুর্বলতা থাকে শরীরে। অনেক করোনা রোগীই সুস্থ হওয়ার পরও অল্পতেই হাঁপিয়ে ওঠেন। এই দুর্বলতা কাটাতে অনেকের কয়েক মাস পর্যন্ত লেগে যায়। অনেক দিন থাকতে পারে জ্বর, কাশি এবং দুর্বলতা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে একটু হলেও দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারবেন।
যেমন-
হালকা ব্যায়াম: অনেকে ঘরের মধ্যে একটু হাঁটলেও হাঁপিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু পুরোপুরি সুস্থ হতে হলে অল্প ব্যায়াম করা প্রয়োজন। সুস্থ হতে তাই ধীরে ধীরে হাঁটা, এক জায়গায় দাঁড়িয়ে হাত-পা ঘোরানো, চেয়ার বসে পায়ের ব্যায়াম করা, নিঃশ্বাসের ব্যায়াম এগুলো করা প্রয়োজন।
রোদে বসা: প্রত্যেক দিন অন্তত ২০ থেকে ৩০ মিনিট রোদে বসতে হবে। তবে খুব সকালের হাল্কা রোদে বসাই ভাল। রোদ কড়া হয়ে গেলে তখন উল্টো ফল হবে।
শুকনো ফল: একটি খেজুর, বেশ কয়েকটা কিশমিশ, ২-৩টি কাঠ বাদাম, ২টি আখরোট সারা রাত জলে ভিজিয়ে রেখে খেতে হবে। সকালের খাবারের সঙ্গে এগুলো খেতে পারেন। আবার যখন ক্লান্ত লাগবে, তখনও অল্প অল্প করে খেতে পারেন। এসব খাবার শক্তি জোগাতে সাহায্য করবে।
হালকা খাবার: ডালের জল, সিদ্ধ ভাত, কম তেল-মসলা দিয়ে করা তরকারি, পাতলা মাছের ঝোলের মতো খাবার খেতে হবে যাতে হজমে সুবিধা হয়। এ সময় প্রক্রিয়াজাত খাবার বা বেশি চিনি একদমই খাওয়া ঠিক নয়। এগুলো হজম করতে অনেক বেশি সময় লাগে এবং তাতে শরীরে শক্তি সঞ্চয় কম তৈরি হয়।
খিচুড়ি-স্যুপ: নানা রকম পুষ্টিকর ডালের খিচুড়ি খেতে পারেন এ সময়ে। একদিন পর পর খিচুড়ি তৈরি করার সময় কিছু মৌসুমি সবজিও দিয়েও রান্না করতে পারেন। সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ দিন কোনও পুষ্টিকর স্যুপ খাওয়ার চেষ্টা করুন। মৌসুমি শাকসবজি দিয়ে স্যুপ বানালে বেশি উপকার পাওয়া যায়। খাওয়ার এক ঘণ্টা পর এমন কোনও চা বা পানীয় খান যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
ঘুম: এই সময় পর্যাপ্ত বিশ্রাম করা ছাড়া কোনও উপায় নেই। যত বেশি বিশ্রাম নেবেন, তত তাড়াতাড়ি আপনার ক্লান্তি দূর হবে। রাতে নির্দিষ্ট সময়ে শুয়ে পড়ার চেষ্টা করুন।