প্রসেনজিৎ রাহা, ৩০ আগস্ট, কলকাতা: গত এপ্রিল মাসেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু আশঙ্কা কাটিয়ে সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছিলেন বাড়িতে। রবিবার আর শেষরক্ষা হল না। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ। রাত ১১.২৫ নাগাদ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হল তাঁর। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন প্রবীণ এই সাহিত্যিক। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর প্রায় এক মাসের যুদ্ধ জয় করে ফিরেছিলেন বাড়ি। কিন্তু অগাস্টেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে ভর্তি হন হাসপাতাসলে। চার চিকিৎসকের একটি দল চিকিৎসা করছিলেন বুদ্ধদেব গুহর।
কোভিড পরবর্তী অসুস্থতাই কাবু করেছিলেন তাঁকে, এমনটাই খবর। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা ছিল তাঁর। এছাড়াও মাল্টি অর্গান ফেলিওরও হ্রাস করেছিল তাঁকে। মূত্রথলীতেও দেখা দিয়েছিল সংক্রমণ। সংক্রমণের ধাক্কায় দূর্বল হন প্রবীণ সাহিত্যিক। বার্ধক্যজনিত অসুখও আশঙ্কা বাড়িয়েছিল।
একাধিক উপন্যাসে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন এই সাহিত্যিক। ১৯৭৭ সালে আনন্দ পুরস্কারে সম্মানিত হন বুদ্ধদেব গুহ। পুরাতনী গানে স্বনামধন্য এই সাহিত্যিক ছিলেন চার্টাড অ্যাকাউন্টেটও। পশ্চিমবঙ্গের আয়কর বিভাগের উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য, আকাশবাণী কলকাতার অডিশন বোর্ডের সদস্যের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ ‘জঙ্গলমহল’।
কিছুদিন আগেই চলে গিয়েছেন কবি শঙ্খ ঘোষ। প্রয়াত হয়েছেন বাচিকশিল্পী গৌরি ঘোষও। এবার ‘মাধুকরীর’ রচয়িতা। ‘বাবলি’, ‘মাধুকরী’, ‘কোজাগর’, ‘হলুদ বসন্ত’, ‘একটু উষ্ণতার জন্য’,’কুমুদিনী’, খেলা যখন এবং ঋজুদা- অরণ্য ও প্রকৃতির কাছাকাছি থাকা এই মানুষটির রচনা সাহিত্য জগতকে সমৃদ্ধ করেছে। কিন্তু কোভিড সংক্রান্ত জটিলতা কেড়ে নিল তাঁকে।