জাহিরুল হক,৬আগস্ট, শিলিগুড়ি: স্বামীর প্রাণ বাঁচাতে কাতর আবেদন স্ত্রী অঙ্কিতা রায়ের! দীর্ঘ চার মাসমাস ধরে হৃদরোগে আক্রান্ত শিলিগুড়ির ২৯ নং ওয়ার্ডের দেশবন্ধুপাড়ার বাসিন্দা দিবাকর চক্রবর্তী।পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী এখন শয্যাশায়ী।আর সেই করনেই, স্বামীর প্রাণ বাঁচাতে কাতর আবেদন স্ত্রী অঙ্কিতা রায়ের! স্বামীর মঙ্গল কামনায় আজও গলায় ঝুলছে মঙ্গল সূত্র। কিন্তু আদৌ কি স্বামীর চিকিৎসার জন্য অর্থ জোগাড় করে তাকে সুস্থ করে বাঁচাতে পারবেন শিলিগুড়ির অঙ্কিতা?
দীর্ঘ চার মাসমাস ধরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বিছানায় শিলিগুড়ির ২৯ নং ওয়ার্ডের দেশবন্ধুপাড়ার বাসিন্দা দিবাকর চক্রবর্তী। হার্টে ব্লকেজ থাকায় এখন শয্যাশায়ী অর্থনৈতিকভাবে সমস্যায় থাকা বিনা চিকিৎসায় দিবাকর।
সঞ্চয় এর অর্থ সব শেষ। ইতিমধ্যেই অনেকের কাছেই পাততে হয়েছে হাত। স্বামীকে বাঁচাতে এবার শিলিগুড়ির সাধারণ মানুষের কাছে কাতর আর্জি বাংলার এক অসহায় স্ত্রী অঙ্কিতার।
অনাহারে অর্ধাহারে কাটছে দম্পতির প্রতিটি দিন। চিকিৎসা করানো তো দূর অস্ত। অঙ্কিতা আদেও বুঝে উঠতে পারছেন না কিভাবে বাঁচাবেন তার স্বামীকে। দিবাকর বাবুর স্ত্রী অঙ্কিতা চক্রবর্তী বলেন, জমানো যা অর্থসম্বল ছিল তা স্বামীর চিকিৎসায় শেষ করে এখন পথে বসার মতো অবস্থা। তার স্বামী সিংথাম এর একটি চা বাগানে কাজ করতেন,কিন্ত হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়ায় আর কেউ খোঁজ খবর রাখেনি।এই অবস্থায় বাড়িতে দুবেলা খাবার জোগাড় করতেও পারছেন না দিবাকর বাবুর স্ত্রী অঙ্কিতা চক্রবর্তী।
তার উপর স্বামীকে সুস্থ করতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। যা কিছুতেই জোগাড় করা সম্বভ হচ্ছে না বলে জানান দিবাকর বাবুর স্ত্রী অঙ্কিতা।ইতিমধ্যেই কয়েকজন স্বহৃদয় ব্যক্তি কিছু খাদ্য সামগ্রী দিয়ে সহায়তা করেছে তাতে কোনরকমে দুমুঠো খেয়ে পরে বেঁচে আছেন ঐ স্বামী-স্ত্রী।
অঙ্কিতা দেবী জানান বর্তমানে ডাক্তারকে ফিস দেওয়ার মত টাকাও না থাকায় স্বামীকে কোন ডাক্তারের কাছেও নিতে যেতে পারছেন না।
এদিকে স্বামীর অসুস্থতাও দিন দিন বেড়ে চলছে।
স্বামীর প্রাণ বাঁচাতে এখন একটাই উপায়, কোন সহৃদয় ব্যক্তি যদি একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন, তবে ফিরে পেতে পারে অঙ্কিতা তার
স্বামীকে।সেই আশাতেই বুক বাঁধছেন দিবাকর বাবুর সহধর্মিণী অঙ্কিতা।
আমরাও ফ্লাশ মিডিয়া নিউজের পক্ষ থেকে বাংলার সহৃদয়বান সমস্ত মানুষের কাছে আবেদন রাখছি,আপনিও বাড়িয়ে দিন না একটু সাহায্যের হাত। আপনার সাহায্য করা অর্থেই হয়তো অঙ্কিতা সুস্থ করতে পারবে তার স্বামীকে। হয়তো কপালের এই চিন্তার ভাঁজ দূর হয়ে হেসে উঠবে ওরা।
আসুন না এগিয়ে। বাংলার এই মেয়ের মুখে যদি আমরা একটু চেষ্টা করে হাসি ফোটাতে পারি। হৃদয়ের রোগে আক্রান্ত দিবাকরের হৃদয় অঙ্কিতার চোখের জল দূর করতে চলুন নিয়ে ফেলি শপথ। অসহায় এই দম্পতিকে অর্থনৈতিক ও চিকিৎসা সম্পর্কিত সাহায্য করে ওদের জীবনে চলুন না নিয়ে আসি নতুন সূর্যোদয় দেখার স্বপ্ন।