শিলিগুড়ি,১৯মে,প্রসেনজিৎ রাহা: দয়াকরে মাস্ক ব্যবহার করুন। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখুন। কিছুক্ষণ বাদে বাদে হাত ধুয়ে ফেলুন। স্যানিটাইজার বা সাবান জলে হাত ধুলেও চলবে। সাবধানে থাকুন সতর্ক থাকুন। কি কথাগুলো শুনে অসহ্য লাগছে তাই তো? বিগত এক বছর ধরে এই কথাগুলো শুনতে শুনতে এখন মাথাটা গরম হয়ে যায় তাই না? কিন্তু আমরা আবারও বলছি, মাস্ক ব্যবহার করুন, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখুন, কিছুক্ষণ বাদে বাদে সাবান জলে হাত ধুয়ে ফেলুন, কি করবো বলুন তো, সমাজের কিছু মানুষের জন্য এই কথাগুলো বারবার বলতেই হচ্ছে।
বিগত এক বছর যাবত মোবাইল ফোনের কলার টিউনে, পুলিশ প্রশাসনের দাঁড়া করা মাইকিংয়ে, টিভিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই কথা বারবার বলা হয়েছে, কখনো হাত জোড় করে পুলিশ প্রশাসন সাধারণ মানুষের কাছে এই অনুরোধ করেছেন, কখনো বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পা ধরে মাস্ক পড়ার অনুরোধ করেছেন, আর কত?আর কিভাবে মানুষকে বোঝাতে হবে? এই করোনার হাত থেকে রক্ষা পেতে মাস্ক আমাদের সবচেয়ে বড় রক্ষাকবচ এটা কি এখনো বোঝাতে হবে? এখনো কি সবাইকে মনে করিয়ে দিতে হবে? মানতে হবে শারীরিক দূরত্ব? ব্যবহার করতে হবে স্যানিটাইজার বা কিছুক্ষণ বাদে বাদে ধুয়ে ফেলতে হবে হাত? আর কত বোঝাবে পুলিশ প্রশাসন সরকার?
হাত জোড় করে অনুরোধ করার পাশাপাশি, বিগত এক বছর যাবত লক্ষ লক্ষ মাস্ক রাজ্য সরকার পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে তুলে দিয়েছে সাধারণ মানুষের কাছে, এই বার্তা দিতেই যে মাস্ক ব্যবহার করতেই হবে, কিন্তু আজও লজ্জার,কিছু মানুষ আজও মাস্ক ছাড়া ঘুরে বেড়াচ্ছেন, পুলিশ প্রশাসন কত নজরদারি চালাবে বলুন তো? পাড়ায় পাড়ায় গলিতে গলিতে গিয়ে আর কত মানুষকে সতর্ক করবে? আমরা কি পারিনা, নিজেদের স্বার্থে অন্তত মাস্ক ব্যবহার করতে? করোনা মহামারী রুখতে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার লকডাউন এবং নাইট কারফিউয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর কি করার আছে সরকারের? আর কি করার আছে পুলিশ প্রশাসনের? আসুন না আমরা সবাই মিলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই, মাস্ক ছাড়া আমরা বাড়ির বাইরে বেরোবো না, আমাদের প্রিয়জনদের মুখের দিকে তাকিয়ে আসুন না আজ থেকেই বদলে যাই প্রত্যেকে।