জহিরুল হক, ১২জুলাই, শিলিগুড়ি: পুলিশের জালে ধরা পরলো ভুত।ভূতকে গ্রেপ্তার করতে পারায় নিশ্চিন্ত হল নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ। ভূত গ্রেফতার হলেও ভুতের দলের আরও বেশ কয়েকজন এর খোঁজে চলছে তল্লাশি।ডাকাতির ছক কষার আগেই গত ১১ ই জুন ডাকাত দলের ৩ পান্ডাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছিল শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের এন জে পি থানার সাদা পোশাকের পুলিশ। তবে পুলিশের গাড়ি দেখে
পালাতে সক্ষম হয়েছিল আরোও বেশ কয়েকজন।বাকিদের খোজে তল্লাশি শুরু করেছিল এন জে পি পুলিশ।জানাগেছে ঐ দিন গভীর রাত্রে ১০/১২ জনের একটি ডাকাত দল ডাকাতি করার উদ্যশ্যে নিউ জলপাইগুড়ি থানার অন্তর্গত বাড়ি ভাষা মাদানি বাজার এলাকায় জড়ো হয়।
গোপন সুত্রের খবরের ভিত্তিতে সেই এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ।পুলিশকে দেখে কয়েকজন পালিয়ে যেতে পারলেও ৩ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছিল বেশ কিছু ধারালো অস্ত্র।
ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ জানতে পারে এই টিমের কিংপিন ভূত। তারপর ভূত খুঁজতে অভিযানে নামে নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ। ভূতের বাড়িতে বেশ কয়েকবার হানা দিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু ভূতকে পাওয়া যায়নি। পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিল ভূত।
অবশেষে সোমবার ভোর বেলায় মিলে গেল সাফল্য। ভোরের আলো ফুটতেই গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে ঐ ডাকাতদলের পান্ডাকে ভূতকে এনজেপি নেতাজী মোড় থেকে গ্রেপ্তার করলো এন জে পি থানার সাদা পোশাকের পুলিশ। আর তাকে গ্রেফতার করতে পেরেই অনেকটা নিশ্চিত হয়েছে নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ। কারণ কিংপিন পুলিশের জালে। আর তার কাছ থেকে পাওয়া গিয়েছে দলের অন্যান্যদের নাম ঠিকানা।
সোমবার ভোরে ডাকাত দলের যে সদস্য গ্রেপ্তার হয়েছে তার নাম মোঃ সুলতান। তবে সবাই তাকে ভূত বলেই চেনে। রাতের অন্ধকারে কুকীর্তি করে বেড়ায় জন্যই হয়তো এই নাম।নিউ জলপাইগুড়ি থানার অন্তর্গত রাজা হোলীর বাসিন্দা এমডি সুলতান অর্থাৎ ভুতকে সোমবার জলপাইগুড়ি আদালতে পাঠানো হয়। ভূত গ্রেফতার হওয়ায় অনেকটাই স্বস্তি মিলেছে নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশের। কারণ এবার বাকিরাও চলে আসবে পুলিশের জালে। আর কন্ট্রোল হবে এলাকার ক্রাইম।