শিলিগুড়ি,১০জুন,জহিরুল হক: গোটা দেশ যখন অর্থনৈতিক সংকটে, রাজ্য যখন মহামারী করোনা পরিস্থিতে কার্যত লকডাউনে ঠিক সেই সময় আম্বুলেন্স দান করে নজির গড়লেন জলপাইগুড়ির এক শিক্ষিকা । করোনা পরিস্থিতে রাজ্যের মুখ্য মন্ত্রীর কর্ম কান্ড ও পরিবারের বড় ছেলে স্পন্দনের কথায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজের বেতনের টাকায় আম্বুলেন্স দান করলেন এক শিক্ষিকা ।
জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদকে ওই শিক্ষিকা অ্যাম্বুলেন্সটি তুলে দেন এবং জেলা পরিষদ সেই আম্বুলেন্স টি তুলে দেয় জলপাইগুড়ির সেচ্ছাসেবী সংস্থা “শ্রদ্ধার ‘ কর্মকর্তাদের হাতে । জলপাইগুড়ির ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তথা জলপাইগুড়ির মান্তাদাড়ি এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা কেয়া সেন হলেন সেই মহিলা যিনি এই কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে এক দিনেই সংবাদ শিরোনামে।
শিক্ষিকা কেয়া সেন বলেন ,এই প্যান্ডামিক পরিস্থিতে রাজ্যের মুখ্য মন্ত্রী যখন রাস্তায় নেমে সাধারণ মানুষকে সচেতন করছেন ,ঠিক সেই সময় আমরা স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা বাড়িতে বসে মাসের পর মাস মাইনা পাচ্ছি । সারা রাজ্যের পাশাপাশি জলপাইগুড়িতেও যেভাবে মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন এবং কিছু দুঃস্থ পরিবার আম্বুলেন্সের জন্য আহুতাশ করছেন এই সব দেখে মনে খুব আঘাত লাগে। সমাজে মানুষের কল্যাণের জন্য যদি কিছু করতে পারি তাহলে হয়ত সবার মঙ্গল হবে । তাই এই মহত কাজে আম্বুলেন্স দান করা। জলপাইগুড়ির জেলা পরিষদ হলে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আম্বুলেন্সটি সেচ্ছাসেবী সংস্থা
“শ্রদ্ধার “র কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এছাড়াও ওই অনুষ্ঠানে ট্রাফিক পুলিশের জন্য ২ হাজার মাক্স তুলে দেওয়া হয় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের হাতে। এই অ্যাম্বুলেন্স প্রদান
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মন , এস জে ডি এ রচেয়ারম্যান বিজয় চন্দ্র বর্মন , সদর বিধান সভার বিধায়ক ডাঃ প্রদীপ কুমার বর্মা । সহ সভাধিপতি দুলাল দেবনাথ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ চন্দ ঢালী , পুর প্রশাশক বোর্ডের সদস্য সন্দীপ মাহাত এবং জেলা পরিষদের অন্যান্য কর্মধক্ষ , আধিকারিক ও কর্মি বৃন্দরা ।