শিলিগুড়ি,১৯মে,প্রসেনজিৎ রাহা, তনময় চক্রবর্তী:
ওরা নিষ্পাপ, ওরা অবুঝ, করোনা, লকডাউন কিছুই বোঝেনা ওরা। একটু খাবারের জন্য এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করে ওরা সকাল বিকাল। খাবার না পাওয়ায় আবার রাস্তা ধারে ঘোরাফেরা করে কোনো দোকানের পাশে শুয়ে পড়ে ওরা। হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন আমরা পথ কুকুরদের কথাই বলছি। লকডাউনে সবচেয়ে বেশি খাবারের সংকটে পড়েছে ওরা। দোকান, বাজার, হোটেল, রেস্টুরেন্ট সব বন্ধ থাকায় জুটছে না হোটেল রেস্টুরেন্ট থেকে ফেলে দেওয়া খাবার গুলি। ওই খাবারের উপর নির্ভর করেই থাকে ওরা, কিন্তু বিগত চার দিন যাবত এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত খাবারের জন্য ঘুরে বেড়াচ্ছে পথ কুকুরের দল, কিছু মানুষ তাদের বাড়ির সামনের পথগুলো গুলোকে খেতে দিলেও, বিপাকে পড়েছে শহরের বিভিন্ন বাজার হাটে থাকা কুকুরগুলো, বিগত চার দিন যাবত বন্ধ হোটেল রেস্টুরেন্ট, আর সেই কারণে খাবারের সংকটে ভুগছে ওরা, কারন, হোটেল রেস্টুরেন্ট থেকে বেঁচে যাওয়া খাবার ফেলে দেওয়া হয় রাস্তাঘাটে, আর তা খেয়েই পেট ভরায় ওরা।
গতবছর লকডাউন এর সময় বেশকিছু
পশুপ্রেমী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা রাস্তায় কুকুর দের নিয়মিত খাবার খেতে দিয়ে ছিলেন। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ আগেরবার চেয়ে অনেক বেশি। আর সেই কারণেই এবার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সদস্যরাও পথে নামতে দুবার ভাবছেন। করোনার চেইন ব্রেক করতে রাজ্য সরকার আগামী ৩০ তারিখ পর্যন্ত কড়া লকডাউন জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গে। আগামী কুড়ি দিন এই পথ কুকুর গুলো কি খেয়ে থাকবে এটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন পশুপ্রেমীদের কাছে। শিলিগুড়ির একটি পশুপ্রেমী সংস্থার কর্ণধার প্রিয়া রুদ্র বললেন, একদিকে অর্থনৈতিক সমস্যা, অপরদিকে করণায় আক্রান্ত হচ্ছেন সকলেই, সেই কারণে গতবারের মতো পথে নেমে কাজ করার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবুও তারা চেষ্টা চালাচ্ছেন পথে থাকা ওই অবলা প্রাণী দের মুখে কিছু খাবার তুলে দিতে। কিন্তু 100% পথো কুকুরের মুখে খাবার তুলে দেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন প্রিয়া দেবী। শহরের সাধারণ মানুষের কাছে তিনি অনুরোধ করে বলেছেন,প্রত্যেকে প্রত্যেকের বাড়ির সামনের পথ কুকুরগুলোকে যদি একটু খেতে দিত তাহলে ওরা বাঁচত।
হোটেল রেস্তোরাঁ বা রাস্তার ধারের ফুড কর্নার গুলো বন্ধ থাকায় খাবারের সংকটে পড়েছে পথ কুকুরের দল। সকাল থেকে বিকেল খাবারের জন্য হন্যে হয়ে এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ঘুরে অবশেষে খালি পেটেই রাস্তায় বা কখনো কোনো দোকানের সামনে ঘুমিয়ে পড়ছে ওরা, ওরাও হয়তো চাইছে সব ঠিক হয়ে যাক। আবার খুলুক হোটেল-রেস্তোরাঁ। জুটুক একটু খাবার, প্রসেনজিৎ রাহা ও তনময় চক্রবর্তীর রিপোর্ট ফ্ল্যাশ মিডিয়া নিউজ।