মালদা,১৯জুন,ফ্ল্যাশমিডিয়ানিউজ ডেস্ক : মালদায় বেআইনি ভোজ্য তেলের কারখানার হদিশ মিলল। বেআইনি ভাবে ভোজ্য তেলের ব্যবসা নিয়ে বেশ কিছুদিন যাবৎ নেটিজেনরা সরব হন সামাজিক মাধ্যমে। তারপরেই নড়েচড়ে বসল মালদা জেলা প্রশাসন। ভেজাল ভোজ্য তেলের কারখানার হদিশ পেতেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার। যদিও বেআইনিভাবে ব্যবসার কথা অস্বীকার করেছে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী।
মালদহের চাঁচলের কান্ডারনের পর এবার হরিশ্চন্দ্রপুরের তুলসিহাটা। প্রশাসন অভিযান চালিয়ে বেআইনি ভোজ্য তেলের কারখানার হদিশ পেল। তুলসিহাটায় ভোজ্য তেলের বেআইনি কারবার রমরমিয়ে চলছে বলে সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই সরব হয়েছিলেন। তারপরই শুক্রবার তুলসিহাটায় ওই সর্ষের তেলের কারখানায় অভিযান চালান মহকুমাশাসক সঞ্জায় পাল। মহকুমা শাসকের নেতৃত্বে ওই অভিযানে সঙ্গে ছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের বিডিও অনির্বান বসু, চাঁচলের এসিএমওএইচ জয়ন্ত বিশ্বাস, ফুড সেফটি অফিসার আয়েশা খাতুন ও হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
লাইসেন্সে গরমিল ছাড়াও সেখানে নামীদামী কোম্পানির স্টিকার, স্টিকার তৈরির মেশিন, ব্লেন্ডিং তথা দুরকম ভোজ্য তেল মেশানোর মেশিন সহ আরও কিছু যন্ত্রপাতি বাজেয়াপ্ত করেছে প্রশাসন। তেলের নমুনাও সংগ্রহ করেছেন ফুড সেফটি অফিসার। পাশাপাশি পুলিশের কাছে কারখানার বেআইনি কাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। যদিও প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে কীভাবে দিনের পর দিন বেআইনিভাবে ওই কারখানা চলছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বেআইনি কারবারের কথা অবশ্য মানতে চাননি কারখানার মালিক।
মালদা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাইরে থেকে ট্যাঙ্কারে করে ওই কারখানায় সর্ষের তেল নিয়ে আসা হয়। তারপর ওই তেল টিনে ভরে তাতে নামীদামী কোম্পানির স্টিকার লাগিয়ে বাজারে চড়া দামে বিক্রি করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এছাড়াও প্রশাসন সূত্রে খবর, সরষের তেলের সঙ্গে অন্য কোনও তেল মেশানো তথা ব্লেন্ডিং করা সরকারি ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এক বছর আগে। কিন্তু ওই কারখানায় ব্লেন্ডিং মেশিন পাওয়া গেলেও মালিকের দাবি, নিষিদ্ধ করার পর আর তিনি ব্নেন্ডিং করেন না। যদিও ব্লেন্ডিং মেশিন দেখে প্রশাসনের সন্দেহ, এক বছর নয়, কয়েকদিন আগেও তা ব্যাবহার হয়েছে। এছাড়া কারাখানার লাইসেন্সেও গরমিল রয়েছে বলে প্রশাসন জানিয়েছে! এমন কিছু খাদ্যপণ্য কারখানায় রাখা ছিল যার লাইসেন্স নেই কোম্পানির কাছে। গীতা ট্রেডিং নামে তার ট্রেডিং লাইসেন্স রয়েছে। কিন্তু তিনি একাধিক নামীদামী ব্রান্ডের তেল বিক্রি করছেন বলেও প্রশাসন জানতে পেরেছে।
চাঁচলের মহকুমাশাসক সঞ্জয় পাল বলেন, কারখানায় বেআইনি কারবার চলছে জানতে পেরেই অভিযান চালানো হয়। বেশ কিছু বে-আইনি কারবারের বিষয় আমাদের নজরে এসেছে! নানান কোম্পানির স্টিকার, মেশিন সহ বেশ কিছু মেশিন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।