ফ্ল্যাশ মিডিয়া নিউজ ডেস্ক, ১৫জুলাই, দিল্লী: বিজেপির সর্বভারতীয় যুব সংগঠনে গুরুত্ব বাড়ছে বাংলার। দিন কয়েক আগেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদলের পর মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন বাংলার চার সাংসদ। পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গলমহল, উত্তরবঙ্গ, এমনকী, মতুয়া মহলের প্রতিনিধিরা মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন।
এবার যুব মোর্চার সংগঠনে গুরুত্ব পেলেন বাংলার আরও এক সাংসদ এবং এক বিধায়ক। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, যুব মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছেন উত্তরবঙ্গের দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা। ভারতীয় জনতা পার্টির যুব সংগঠন যুব মোর্চার তরফে টুইট করে সাংগঠনিক রদবদলের কথা জানানো হয়।
সর্বভারতীয় যুব সংগঠনে একাধিক নতুন মুখকে স্থান করে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বাংলার এক সাংসদ ও এক বিধায়ক অন্যতম। একজন দার্জিলিঙয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। অপরজন হলেন দুবরাজপুরের বিধায়ক অনুপ সাহা।
দার্জিলিংয়ের সাংসদকে যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ দেওয়া হয়েছে। আর দুবরাজের বিধায়ককে করা হয়েছে যুবমোর্চার সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। তবে রাজু বিস্তাকে যুবমোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ দেওয়া রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল, মন্ত্রিসভার রদবদলের পর থেকেই দার্জিলিংয়ের গোর্খাদের মধ্যে ক্ষোভ দানা বাঁধছিল। প্রশ্ন উঠছিল, কেন গোর্খা প্রতিনিধি হিসেবে রাজু বিস্তাকে মন্ত্রিত্ব দেওয়া হল না?
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিজের অসন্তোষ জানিয়ে চিঠি লিখেছেন বিজেপির টিকিটে জিতে আসা বিধায়ক নীরজ জিম্বা । কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে তাঁর অসন্তোষের মূল কারণ দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু সিং বিস্তাকে শামিল না করা। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে জিম্বা বলছেন,”মন্ত্রিসভার রদবদলে রাজু বিস্তার মতো যোগ্য প্রার্থীকে বাদ রাখায় দার্জিলিংয়ের মানুষের মনে ক্ষোভ জমেছে।
সেই ২০০৯ থেকে দার্জিলিং থেকে বিজেপি সাংসদ পাচ্ছে। রাজু সিং বিস্তা এই এলাকায় উন্নয়নের কাজ করছেন। দার্জিলিং জেলার সবক’টি আসন তিনি BJP-কে জিতিয়েছেন। তাছাড়া তরাই-ডুয়ার্স অঞ্চলের আরও ১০টি আসনে তাঁর প্রভাব রয়েছে। এই ধরনের ব্যক্তিকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়ায় গোর্খারা হতাশ।” ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই ক্ষোভকে চাপা দিতেই এবার রাজু বিস্তাকে সাংগঠনিক গুরুদায়িত্ব দেওয়া হল।