করণদিঘী,২১মে,দেবাশিস দাস: বিধায়ক পদে শপথ নেওয়ার পর থেকেই নিজ নিজ এলাকায় অতিমারি করোনা মোকাবিলায় ঝাঁপিয়ে পড়েছেন রাজ্যের তৃনমূল কংগ্রেস বিধায়কেরা। যার অন্যতম উদাহরন উত্তর দিনাজপুর জেলার করনদিঘী বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক গৌতম পালের উদ্যোগে করোনা আক্রান্ত রোগীদের সুচিকিৎসার জন্য শুক্রবার উদ্বোধন করা হল আধুনিক উন্নত পরিষেবাযুক্ত ১০০ শ্যযার ” সেফ হোম “।
করনদিঘী বিধানসভা নিবাসীর করোনা আক্রান্ত রোগীদের সুচিকিৎসার জন্য করনদিঘী মডেল স্কুলে নির্মিত এই সেফ হোমের উদ্বোধন করেন উত্তর দিনাজপুর জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মীনা। উপস্থিত ছিলেন রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার সুমিত কুমার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার যশপ্রীত সিং এবং করনদিঘীর বিধায়ক গৌতম পাল সহ বহু বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার সাথে সাথে তা মোকাবিলায় উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার ও তার দলের বিধায়কেরা। উত্তর দিনাজপুর জেলার করনদিঘী বিধানসভা এলাকাতেও ছড়িয়েছে এই সংক্রামক রোগ। হাসপাতালগুলিতে একটু কম সঙ্কটজনক করোনা আক্রান্ত রোগীদের সুচিকিৎসার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরনায় এবং করনদিঘীর বিধায়ক গৌতম পালের উদ্যোগে করনদিঘী মডেল স্কুলে এদিন উদ্বোধন করা হল ১০০ শ্যযার সেফ হোম।
বিধায়ক গৌতম পাল জানিয়েছেন, এখানে আপাতত ১০০ শ্যযার সেফ হোম করা হলেও ৪০০ শ্যযার পরিকাঠামো রয়েছে। প্রয়োজনে ভবিষ্যতে সেফ হোমে শয্যার সংখ্যা বাড়ানো হবে। এই সেফ হোমে অক্সিজেন পরিষেবা থাকার পাশাপাশি রোগীদের মনোরঞ্জনের জন্য টিভি এবং সাউন্ড সিস্টেমের ব্যাবস্থা রাখা হয়েছে। সর্বক্ষণের জন্য নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়াও মোট ২০ জন লোক থাকবে সেফ হোমে থাকা করোনা আক্রান্ত রোগীদের দেখাশোনা করার জন্য। এছাড়াও সকাল সন্ধ্যা ব্রেকফাস্ট ও টিফিনের পাশাপাশি দুবেলা মিলের ব্যাবস্থাও রাখা হয়েছে। জরুরি পরিষেবার জন্য থাকছে অ্যাম্বুলেন্সও।
উত্তর দিনাজপুর জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মীনা জানিয়েছেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী করোনা মোকাবিলা করার জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহন করেছেন। ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যসচিব প্রতিটি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় করোনা আক্রান্তদের জন্য সেফ হোম খোলার নির্দেশ দিয়েছেন। করনদিঘী বিধানসভার বিধায়ক গৌতম পাল নিজে উদ্যোগ নিয়ে এখানে একটি সেফ হোম খুলেছেন। অপেক্ষাকৃত মৃদু আক্রান্তদের এখানে রাখা হবে। যদি এখানে থাকা করোনা রোগীর অবস্থা সঙ্কটজনক হয় তবে তাঁকে দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বা অন্যান্য কোভিড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে।
করনদিঘীর বিধায়ক গৌতম পালের এই সেফ হোম খোলার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার সুমিত কুমারও। তিনি জানিয়েছেন প্রয়োজনে সবরকম পুলিশি সাহায্য সহযোগিতা করা হবে।