প্রসেনজিৎ রাহা,৩রাজুলাই,শিলিগুড়ি: শিলিগুড়ি শহরের রমরমা চলছে অবৈধ কল সেন্টার। মানুষকে প্রতারিত করার এই কারবারে বেশকিছু কিংপিন ব্যবহার করছে শহরের যুবতীদের। নকল ভালোবাসার ফাঁদে ফেলে টাকা লুটের এই কারবারের কার্যালয়ে এবার হানা দিল শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ।
শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের মাটিগাড়া থানার একটি শপিং মলের পাশের অফিস ব্লকে চলছিল অবৈধ কল সেন্টার, বেশ কিছুদিন ধরেই শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট এর স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের কাছে এই খবর আসছিল। গোপন সূত্রে পাওয়া ওই খবরের ভিত্তিতেই ওই শপিংমল পার্শ্ববর্তী অফিস ব্লকে নজরদারি শুরু করে স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ।
শনিবার দুপুরে মিলে গেল সাফল্য। স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ, মাটিগাড়া থানার পুলিশ এবং শিলিগুড়ি মহিলা থানার পুলিশ অফিস ব্লকের ওই কল সেন্টারে আচমকা অভিযান চালাল। ওই অফিস থেকে উদ্ধার হল কুড়ি জনেরও বেশি যুবতী এবং আটক হলো ২ জন যুবক। শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মাটিগাড়া থানার অন্তর্গত ওই শপিং মল পার্শ্ববর্তী অফিস ব্লকে চলছিল একটি অবৈধ কল সেন্টার। ওই কল সেন্টারে কাজ করতো উদ্ধার হওয়া যুবতীরা।
আটক দুই যুবক ওই কল সেন্টারের দেখাশোনার দায়িত্ব ছিল বলে জানা গিয়েছে। কল সেন্টারের ঠিক কি কাজ হত তার কোনো সঠিক তথ্য দেখাতে পারেনি কল সেন্টারের কর্মীরা এবং দায়িত্বে থাকা দুই যুবক। পুলিশের সন্দেহ এই কল সেন্টার থেকেই চলত মানুষকে প্রতারণা করার কাজ। স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ, মাটিগাড়া থানার পুলিশ এবং মহিলা থানার পুলিশ কর্মীরা উদ্ধার হওয়া যুবতীদের ওই কল সেন্টার থেকে সোজা নিয়ে আসেন শিলিগুড়ি থানার ওম্যান সেলে।
মহিলাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রে আর কারা জড়িয়ে রয়েছে তাদের কাছেই পৌঁছতে চাইছে স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ। অফিসটি আপাতত সিল করে দিয়েছে পুলিশ। বেশ কিছুদিন পর আবার শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মার নেতৃত্বাধীন স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ একটি বড় সাফল্য পেল। এখন এটাই দেখার এই কল সেন্টার কাণ্ডে আর কারা কারা জড়িয়ে রয়েছে।