শিলিগুড়ি,২১মে,প্রসেনজিৎ রাহা: ব্ল্যাক ফাঙ্গাস-কে ইতিমধ্যেই মহামারী বলে ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। রাজস্থান সরকার প্রথমে এই ছত্রাকঘটিত রোগকে মহামারী বলে ঘোষণা করে। কিন্তু এবার আবার নতুন বিপদ। দেশে দেখা মিলল ‘হোয়াইট ফাঙ্গাস’-এর।বিহারে বেশ কয়েকজনের শরীরে ধরা পড়েছে এই ধরনের হোয়াইট ফাঙ্গাস।
বিশেষজ্ঞদের মতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের থেকে অনেক বেশি সংক্রমক এই হোয়াইট ফাঙ্গাস। মানুষের দেহে ফুসফুস ছাড়াও অন্যান্য অঙ্গের ক্ষতি করে এই ছত্রাক ঘটিত রোগ।পাটনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান ড. এস এন সিং এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, শহরে ৪ জন রোগীর দেহে হোয়াইট ফাঙ্গাসের দেখা মিলেছে।
যেসব মানুষের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কম, ডায়েবেটিস রয়েছে, এইডসের রোগী, কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট হয়েছে এমন রোগীরা হোয়াইট ফাঙ্গাস রোগে বেশি আক্রান্ত হতে পারেন। অনেক সময় অক্সিজেন সিলিন্ডারের সঙ্গে থাকা হিউমিডিফায়ারে ট্যাপের জল ব্যবহার করা হয়। ওই জলে হোয়াইট ফাঙ্গাস থাকতে পারে। এর থেকে রোগীর ফুসফুসে সংক্রমণ হতে পারে। এমনটাই জানিয়েছেন ড.এস এন সিং।
হোয়াইট ফাঙ্গাসের উপসর্গ প্রায় করোনার মতোই বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। এক্ষেত্রে রোগীর সিটি স্ক্যান, এক্স রে খুবই জরুরি। করোনার পাশাপাশি ইতিমধ্যেই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের আতঙ্কে ভুগছে দেশের একাধিক রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গেও এই রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। গুজরাট, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি করেছে। মহারাষ্ট্রে ইতিমধ্যেই ওই রোগে ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। বিশেষজ্ঞদের মতে অতিরিক্ত স্টেরয়েডের ব্যবহারের ফলে রোগীর রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কমে যায়। সেক্ষেত্রে ওইসব রোগীরা সহজেই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। এবার ব্ল্যাক ফাঙ্গাস এর পাশাপাশি হোয়াইট ফাঙ্গাস নতুন চিন্তার কারন হয়ে দাঁড়ালো চিকিৎসক মহলের।