শিলিগুড়ি,২৩মে,ফ্ল্যাশ মিডিয়া নিউজ ডেস্ক:
রাজ্যে এখনো লাগাম আসেনি করোণায় আক্রান্তের সংখ্যা বা মৃত্যুর সংখ্যাতে। শনিবার চীনা ভাইরাস কেড়ে নিল আমাদের রাজ্যের ১৫৪ জনকে। যা পরিস্থিতি চলছে তাতে একটা বিষয় পরিষ্কার এখনই নিস্তার নেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এর হাত থেকে।এর ওপর আবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন আগস্টেই আসতে চলেছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। আর ইতিমধ্যেই রাজ্য থাবা বসিয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউতেই সর্বস্বান্ত দেশের পাশাপাশি বাংলা। দেশের অন্যান্য রাজ্যের মত
প্রতিদিন হাসপাতাল নার্সিং হোমে প্রিয়জন হারানো মানুষগুলোর কান্না এখন পশ্চিমবঙ্গেরও নিত্যদিনের ছবি হয়ে গেছে। বাংলাবাসী চাইছে একটু বাঁচতে। আর কত?কত মানুষের প্রাণ কেড়ে নেবে করোনা? রাজ্যের এই পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার।গোটা দেশেও ক্রমশ বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। পিছিয়ে নেই বাংলাও।
বিগত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৮৬৩ জন।করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৫৪ জনের। প্রতিদিন পশ্চিমবঙ্গে এখন ১৯ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। বিগত ১০দিন যাবত করোনায় রেকর্ড মৃত্যু কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে স্বাস্থ্য দপ্তরের। করোনার প্রথম ঢেউ থেকে এখনো পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা 12 লক্ষ 67 হাজার 531 জন। শুক্রবার বিভিন্ন হাসপাতাল নার্সিং হোম থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি গিয়েছেন ১৯ হাজার ২০২ জন।
করোনার হাত থেকে রক্ষা পেতে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়ার পাশাপাশি অব্যাহত করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনাও। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যায় সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে দক্ষিণবঙ্গ।
উত্তর ২৪ পরগনা এবং কলকাতায় বিগত ২৪ ঘন্টায় মৃতের সংখ্যা ৪৩ এবং ৪১ ।
তবে উত্তরবঙ্গে মৃত্যুর সংখ্যা অনেকটাই কম। জলপাইগুড়ি জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০৬ জন। জলপাইগুড়িতে ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। দার্জিলিং জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬৮১ জন। মৃত্যু হয়েছে একজনের।আলিপুরদুয়ার জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৮২ জন। কোচবিহার জেলায় আক্রান্ত ২৩৪ জন। কালিংপং জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯২ জন। উত্তর দিনাজপুর জেলায় করোণায় আক্রান্ত ২৫৫ জন। দক্ষিণ দিনাজপুরে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮১ জন। মৃত ৪ জন। মালদায় আক্রান্ত ১৬২ জন। সবমিলিয়ে আক্রান্ত হলেও মৃতের সংখ্যা দিনকে দিন কমছেউত্তরবঙ্গের বঙ্গের জেলায় জেলায়। বর্তমান রাজ্যে লকডাউন চলছে। কারণ বাঁচতে চাইছে বাংলা। করোনার চেইন ব্রেক করতে লকডাউনই একমাত্র অস্ত্র বলেই মনে করেছে রাজ্য সরকার। বাংলাবাসিও চাইছে বাঁচতে। সবাইকে মাস্ক ব্যবহার এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার অনুরোধ করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর।