ফ্ল্যাশ মিডিয়া নিউজ ডেস্ক ১৫জুলাই, জলপাইগুড়ি: চা বাগানের পুকুর থেকে ৩ আদিবাসী কন্যার মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো জলপাইগুড়িতে। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে রায়পুর চা বাগানে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে জলপাইগুড়ি রায়পুর চা বাগানের ৩ নাবালিকা বুধবার দুপুরে প্রতিদিনকার মত খেলার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়।
সন্ধ্যা হয়ে গেলেও তারা বাড়ি না ফেরায় তাদের খুজতে বের হয় পরিবারের লোকজন। বন্ধুবান্ধব আত্মীয় পরিজন সবার বাড়ি খুঁজেও তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এরপর রায়পুর চা বাগানের অন্যান্য শ্রমিকরা এবং স্থানীয় বিভিন্ন ক্লাবের যুবকেরা ওই তিন কিশোরীকে খুঁজতে হন্য হয়ে বেরিয়ে পড়েন। স্থানীয় বাসিন্দারা ওই তিন কিশোরীকে
খুজতে বেরিয়ে স্থানীয় একটি পুকুর পাড়ে তাদের জুতো দেখতে পায়। এরপর ওই কিশোরীর দের এলাকার বেশ কয়েকজন যুবক পুকুরে নামলে সেখান থেকে একে একে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে জলপাইগুড়ি শহরে। স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেন কোতোয়ালি থানার পুলিশকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ।স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে এই তিন কিশোরী কেউই সাতার জানত না। তবে কি কারনে তারা পুকুরে নেমেছিলো তা নিয়েই ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃতদের নাম সোনামুনি তুড়ি বয়স ১৫, অনু মাঝি বয়স ১১, আগস্তুনা ওঁড়াও বয়স ১৪।
এই ঘটনা নিয়ে জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত জানান।তিন নাবালিকার দেহের পোষাক পুকুড়ে ভাসতে দেখে ও তাদের জুতো পুকুরের পাশে দেখতে পেয়েই স্থানীয়রা পুকুরে নেমে এক এক করে তিন কিশোরীর দেহ উদ্ধার করে। পুলিশ সুপার জানান গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কিভাবে একসাথে তিন কিশোরীর মৃত্যু ঘটলো তা ভাবাচ্ছে এলাকার মানুষ ও পুলিশকে।