শিলিগুড়ি,১৮জুন,পরিমল রায়: বিগত দেড় বছরের বেশি সময় ধরে দেশে চলছে করোনা অতিমারী। আর এই কারণে অর্থনৈতিক সংকটে ও কাজকর্ম হারিয়ে বিপাকে হাজার হাজার মানুষ। অন্যান্য পেশার মানুষের মত লকডাউন ও কার্যত লকডাউন এর কারণের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সংকটের জন্য মন্দায় দিন কাটাচ্ছে কুঠির শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শিল্পীদের৷ করোনার প্রথম ঢেউ থেকে দ্বিতীয় ঢেউ মানুষ প্রায় গৃহবন্দি৷
দেশে চলা করোনা অতিমারীর জন্য সমস্ত ক্ষেত্রেই দেখা দিয়েছে মন্দা৷ এ সময় শহরের ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি গ্রামের ছোটো ছোটো কুঠির শিল্পগুলিও হারিয়ে যাওয়ার পথে৷ দাম বেড়েছে কাঁচা মালের, দাম কমেছে হাতে তৈরী করা সাগ্রীর কারন চাহিদা নেই৷ তাই অর্থনৈতীক সংকটে কুঠির শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শিল্পীরা৷
জলপাইগুড়ি জেলার ডাবগ্রাম—ফুলবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রর ফকদই বাড়ি গ্রামে বাশেঁর তৈরী বিভিন্ন রকম গৃহস্থের জিনিসপত্র তৈরী করে সংসার জীবন পালন করেন গাদুলু বর্মন৷ ফকদই বাড়ি বাজার এলাকায় তার চায়ের দোকান৷ চায়ের দোকান করার পাশাপাশি তিনি বাঁশ দিয়ে তৈরী করেন মানুষের দৈনন্দিন জীবনের ব্যবহিত নানান সামগ্রী এবং সৌখিন ঘর সাজানোর সামগ্রী৷ তিনি তৈরী করেন জাখোই, খলাই, চান্নি, কুলা, টেপাই সহ বিভিন্ন আকারের বাশেঁর ঝুড়ি, বাবুই পাখির বাসা, এমন কি মানুষের চাহিদা অনুযায়ী বাশেঁর চেয়ার এবং বাশেঁর চৌকিও৷
বিগত পাঁচ বছর ধরে তিনি বাশেঁর সামগ্রী তৈরী করার কাজ করে আসছেন৷ গত দেড় বছর ধরে করোনা অতিমারীর জন্য বন্ধ সামাজিক, পারিবারিক, সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান তাই চাহিদা নেই তার তৈরী বাশেঁর সামগ্রীর৷ তৈরী করা অনেক জিনিস বিক্রি না হওয়ার জন্য দোকানে পরেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে৷
করোনা অতিমারীর জন্য এই দিনগুলোতে বন্ধ হয়ে আছে কাজ, তাই আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে কুঠির শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শিল্পীদের৷ কবে স্বাভাবিক হবে গোটা দেশ, বাংলা, এখন সেদিকেই তাকিয়ে গাদুলু বর্মন সহ হস্ত শিল্পের সাথে যুক্ত হাজার হাজার শিল্পীরা।