ফ্ল্যাশ মিডিয়া নিউজ ডেস্ক,৩০জুলাই, দিল্লী: দেখতে দেখতে ৭ কোটি! প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির PM Modi টুইটার ফলোয়ারের সংখ্যা পৌঁছল নয়া মাইলস্টোনে। এই মুহূর্তে বিশ্বের আর কোনও রাজনৈতিক নেতা তাঁর ধারেরকাছেও নেই। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ফলোয়ার সংখ্যা এর অর্ধেকেরও কম। বাকিরা আরো পিছনেই রয়েছেন। এই পরিসংখ্যান বুঝিয়ে দিল, ‘মোদি ম্যাজিক’ এখনও অব্যাহত রয়েছে।
২০০৯ সালে প্রথমবার টুইটার অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন মোদি। তখন তিনি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী। ২০১০ সালে তাঁর ফলোয়ার সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর স্বাভাবিক ভাবেই লাফিয়ে বাড়ে সেই সংখ্যা। গত ৭ বছরে মোদি ছাপিয়ে গেলেন সকলকেই।তবে এখনও তাঁর থেকে অনেক এগিয়ে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তাঁর ফলোয়ার সংখ্যা প্রায় ১৩ কোটি। তবে তিনি বহুদিনই আর রাষ্ট্রপ্রধান নন। ফলে বর্তমানে রাজনীতির শীর্ষনেতাদের মধ্যে আর তাঁকে ধরা হয় না।
একই ভাবে আরেক প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফলোয়ার ৯ কোটির কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টও চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।এই মুহূর্তে ফলোয়ার সংখ্যার বিচারে মোদির ধারেকাছে নেই বিশ্বের কোনও সক্রিয় রাজনীতিবিদই। টুইটারে বাইডেনের ফলোয়ার ৩ কোটির একটু বেশি।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে ফলো করেন ৭১ লক্ষ জন। এর থেকে পরিষ্কার, কতটা এগিয়ে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। প্রথম থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকতে দেখা গিয়েছে মোদিকে। নিয়মিতই তিনি টুইট করেন। তাঁর সরকারের যে কোনও জনকল্যাণমুখী প্রকল্প সম্পর্কেই টুইট করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
তবে গত এপ্রিলে দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা দ্রুত কমতে শুরু করেছে বলেই ইঙ্গিত মিলেছিল সমীক্ষায়। গত মে মাসে ভারতীয় সংস্থা ‘সিভোটার’ এবং মার্কিন সংস্থা ‘মর্নিং কনসাল্ট’-এর দু’টি সমীক্ষাই সেই দাবি করেছে। দু’টি সমীক্ষাই দেখিয়েছিল, দেশের বহু মানুষই মোদির বিপক্ষে রায় দিয়েছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও সেই সমীক্ষার পরিসংখ্যান বুঝিয়ে দিয়েছিল যতই জনপ্রিয়তা কমুক, এখনও দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতার নাম কিন্তু নরেন্দ্র মোদিই।