করোনা সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে রাজ্যে কঠোর বিধিনিষেধ খানিকটা শিথিল হয়েছে। তবে এখনই গাছাড়া মনোভাব মোটেই বরদাস্ত নয়। তাই নতুন করে বেশ কয়েকটি বিধিনিষেধ জারি করল নবান্ন। নবান্ন থেকে জারি হয়েছে নতুন বিজ্ঞপ্তি। তাতে বলা হয়েছে, জেলা স্তরের করোনা সংক্রমণের হটস্পট চিহ্নিত করে প্রয়োজনে ‘কনটেনমেন্ট’ বা ‘মাইক্রো-কনটেনমেন্ট জোন’ ঘোষণা করতে হবে জেলা প্রশাসনকে। যাবতীয় করোনা পরিসংখ্যান সরকারকে দিতে হবে বিস্তারিতভাবে। কোভিড পরিস্থিতির দিকে কড়া নজরদারি এবং নমুনা পরীক্ষার পর রোগীর দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এমনই বেশ কয়েকটি নতুন বিধি জারি করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী।১৫ জুন অর্থাৎ মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজ্যে কঠোর করোনাবিধি লাগু ছিল। ১৬ তারিখ থেকে বেশ কিছু ছাড় দিয়ে জুলাইয়ের ১ তারিখ পর্যন্ত আরেক দফা বিধিনিষেধ জারি হয়েছে। সোমবারই মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে এই কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যসচিব। আর মঙ্গলবার জারি হল নতুন বিধি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি। মূলত চারটি বিষয়ের উপর জোর দেওয়া হয়েছে তাতে। পুর এলাকা, পঞ্চায়েত এলাকার প্রধান এবং জেলাশাসকদের উপর বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, জেলার যেসব জায়গায় কোভিড সংক্রমণ বেশি ছড়াচ্ছে, সেইসব হটস্পটকে চিহ্নিত করে ‘কনটেনমেন্ট’ বা ‘মাইক্রো-কনটেনমেন্ট জোন’ হিসেবে ঘোষণা করা হোক। সেইভাবে এলাকাবাসীকেও সতর্ক করতে হবে। এই বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট সব দপ্তর, পুরসভা এবং জেলাগুলিকে মঙ্গলবার কড়া সতর্কবার্তা দিয়েছে রাজ্য সরকার। গত বছরও করোনা কালে এভাবেই স্থানীয় কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করে মহামারী সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বড় পদক্ষেপ নিয়েছিল রাজ্য সরকার। এবছরও কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকায় এই নিয়মের কথা উল্লেখ রয়েছে। স্থানীয় স্তরে সংক্রমণ বাড়তে দেখলেই প্রশাসনে ‘কনটেনমেন্ট জোন’ ঘোষণা করতে পারে। আর মঙ্গলবার নবান্ন থেকে সেই নির্দেশিকাই জারি হল। আসলে, টানা প্রায় দেড়মাস রাজ্যে কড়া বিধিনিষেধ জারি থাকায় করোনা সংক্রমণ অনেকটা কমেছে ঠিকই। তবে তৃতীয় ঢেউ ধাক্কা দেওয়ার প্রাক্কালে এখনই রাশ আলগা করতে নারাজ প্রশাসন। তাই কিছু ক্ষেত্রে নিয়ম সামান্য শিথিল করেও নজরদারি কিংবা যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার পক্ষেই রাজ্য সরকার। তাতে আরও দ্রুত মহামারী সংক্রমণ সামলানো যাবে বলে আশাবাদী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। প্রসেনজিৎ- রাহার রিপোর্ট ফ্ল্যাশ মিডিয়া নিউজ।