প্রসেনজিৎ রাহা, ১৪আগস্ট, মালদা: এক নাবালিকাকে ধর্ষণ মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে। এর পর অভিযুক্তকে ধরে এনে গণধোলাই দিল গ্রামবাসীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইঁট-বৃষ্টি উত্তেজিত জনতার। গ্রামবাসীদের ছোঁড়া ঢিলে মাথা ফাটল এক এ-এস-আইএর। ঘটনায় আহত হয় আরও এক সিভিক পুলিশ।
এই ঘটনা নিয়ে শনিবার রাত ভর তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয় হরিশ্চন্দ্রপুরে। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী নামে র্যাফ। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার চন্ডিপুর গ্রামে নয় বছরের এক চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে এক প্রৌঢ়রের বিরুদ্ধে।
নজরুল ইসলাম ওরফে ভোলা নামে ওই ব্যাক্তি চালের ব্যবসা করে। তার চালের দোকানে চাল কিনতে এক দিন মজুরের ওই নাবালিকা মেয়ে আর এক কিশোরী যায়। এরপর গ্রামবাসী ও নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ, গোডাউনে চালের টাকা নেওয়ার নাম করে দুজনকে নিয়ে যাওয়ার পরে তাঁর মেয়েকে গোডাউনের ভেতর নিয়ে গিয়ে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত।
রক্তাক্ত অবস্থায় সে কাঁদতে কাঁদতে ঘরে ফিরলে গোটা বিষয়টি জানতে পারেন তাঁর মা। দ্রুত অসুস্থ ঐ নাবালিকাকে প্রথমে হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতাল ও পরে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ইতিমধ্যে ক্ষোভে ফেটে পড়ে গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীরাই খুঁজে ধরে নিয়ে আসে অভিযুক্ত নজরুলকে। এরপরেই শুরু হয় গণধোলাই।
খবর পেয়ে ছুটে আসে পুলিশ। অভিযুক্তকে উদ্ধার করতে গেলে মারমুখী হয়ে ওঠে গ্রামবাসীরা।পুলিশকে লক্ষ্য করে চলে ইঁট-বৃষ্টি।। মাথা ফেটে যায় এ-এস-আই অজিৎ মন্ডলের। এক সিভিক পুলিশও আহত হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান এসডিপিও। সঙ্গে ছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি ও বিশাল পুলিশ বাহিনী ।নামানো হয় র্যাফ।এক রকম খন্ড যুদ্ধের পরে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ। এলাকায় এখনও তীব্র উত্তেজনা রয়েছে। টহল দিচ্ছে পুলিশ ও র্যাফ।