শিলিগুড়ি,২৮মে,ফ্ল্যাশমিডিয়ানিউজডেস্ক: শারীরিক সম্পর্কে রাজি না হওয়ায় স্বামী বিরুদ্ধে স্ত্রীকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠল। শুধু তাই নয়, স্ত্রীকে হত্যার পর অভিযুক্ত স্বামী তিন শিশু সন্তানকেও খালের জলে ফেলে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের পুরকাজি পুলিশ স্টেশন সূত্রে।
উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের মুজাফফরনগরের বাসেদি গ্রামে গত মঙ্গলবার (২৫ মে) এই ঘটনাটি ঘটে। পরে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (২৬ মে) অভিযুক্ত পাপ্পুকে গ্রেফতার করেছে পুরকাজি থানার পুলিশ। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৫ দিন ধরে স্ত্রী ডলির (৩৬) সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের চেষ্টা করেন পাপ্পু কুমার (৩৭)। কিন্তু স্ত্রী ঘনিষ্ঠ হতে চাইছিলেন না। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি স্ত্রীকে হুমকি দেন- আবার যদি আপত্তি করে, তবে তাকে মেরে ফেলবে।
মঙ্গলবার স্ত্রী যথারীতি তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে রাজি না হলে পাপ্পু তার মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ ডলির পরিবারের। দীর্ঘদিন ধরে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অশান্তির ঘটনা ছড়িয়ে পড়েছিল প্রতিবেশীদের কানেও। কিন্তু সাহস করে কেউ এগিয়ে যায় নি সেই সমস্যা মেটাতে। অবশেষে ঘটে গেল এই ঘটনা। পাপ্পুর ছোড়া গুলিতে ঘটনাস্থলেই ডলির মৃত্যু হয়। স্ত্রীকে হত্যার পর সন্তানদের কী হবে- এই চিন্তায় ওদেরও মেরে ফেলতে খালের জলে ফেলে দেয় ওই অভিযুক্ত বাবা। তাদের এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজ তিন শিশু হলো- সোনিয়া (৫), ভানস (৩) ও ১৫ মাস বয়সী হারশিতা।
পুরকাজি পুলিশ স্টেশনের পরিদর্শক দেশরাজ সিং বলেন, স্ত্রীকে হত্যার পর সন্তানদের জলে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় পাপ্পু। পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে তিন শিশু সন্তানের লাশ এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। পাপ্পু সন্তানদের অন্য কোথাও ফেলেছিল কিনা পাপ্পুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। কারণ যেখানে সন্তানদের ফেলা হয়েছিল পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বলেছিল পাপ্পু,সেই খাল ডিজেস্টার ম্যানেজমেন্ট টিমকে নিয়ে দফায় দফায় তল্লাশি চালিয়েও দেহ উদ্ধার করা যায়নি। সেই কারণেই সন্তানদের দেহ কোথায় হাফিস করেছে পাপ্পু তা নিয়েই ধন্দে পুলিশ।