ফ্ল্যাশ মিডিয়া নিউজ ডেস্ক,২২জুলাই,দক্ষিণ ২৪ পরগনা:এক গৃহবধূর পরকীয়ার ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকাবাসী মহিলারা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল কটুক্তিতে। পাশাপাশি নানান রকম ভাবে হেনস্থা করা হচ্ছিল ওই গৃহবধূকে। পরকীয়ার ফল, অবশেষে আত্মহত্যার পথ কেই বেছে নিতে হল লহনা হালদারের।
বৃহস্পতিবার সকালবেলায় অবশেষে ঐ আইসিডিএস কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়।দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢোলাহাট থানার দক্ষিণ দুর্গাপুর এলাকার ঐ আইসিডিএস কর্মী গৃহবধূ আত্মঘাতী হন। গৃহ বধূর নাম লহনা হালদার বয়স ৩৯। তার স্বামীর নাম বাসুদেব হালদার। বাড়ি দক্ষিণ দুর্গাপুর হালদারপাড়া এলাকায়। দক্ষিণ দুর্গাপুর এর 303 আইসিডিএস সেন্টারের শিক্ষিকা ছিলেন ওই গৃহবধূ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে ওই আইসিডিএস কর্মী দীর্ঘদিন ধরেই এক পুরুষের সাথে প্রনয়ের সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন। কিছুদিন আগে ওই আইসিডিএস কর্মীর প্রনয়ের ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় এলাকায়। আর যার জেরে বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ঐ গৃহবধূ আইসিডিএস কর্মী, একজন শিক্ষিকার অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিতে পারিনি এলাকার মানুষজন । তার আইসিডিএস সেন্টারে এলাকার মানুষজন নিজের ছেলেমেয়েদের পড়তে পাঠাবে না বলেই সিদ্ধান্ত নেয়।
গতকাল এই বিষয়টি নিয়ে পাড়ায় বসে এলাকার মানুষদের আলোচনা সভা। বিশেষ করে এলাকার মহিলারাই ওই মহিলা আইসিডিএস কর্মীর বিরুদ্ধে সরব হন। স্বামী থাকতেও পর পুরুষের সাথে সম্পর্ক আছে এমন আইসিডিএস কর্মী কে এলাকার ওই আইসিডিএস সেন্টারের শিক্ষিকা হিসেবে তারা রাখতে চান না বলেও দাবি করেন।এই খবর চাউর হতেই বুধবার গভীর রাত্রে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান ওই আইসিডিএস কর্মী। সারারাত খোঁজাখুঁজির পরেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার সকালবেলা পরিবারের লোকজন গোবদিয়া নদীর মিলন সেতু সংলগ্ন জঙ্গলে তার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। এরপর ঢোলাহাট থানায় খবর দেয়া হলে ঢোলাহাট থানার পুলিশ এসে গৃহবধূর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এলাকার মহিলাদের মানসিক চাপ অবশেষে আত্মহত্যার পথেই নিয়ে গেল লহনাকে।