শিলিগুড়ি,১৫জুন, তন্ময় চক্রবর্তী: রাজ্য সরকারের নির্দেশে করোনার শৃংখল ভাঙাতে চলছে সরকারি বিধি নিষেধ। আগামী পয়লা জুলাই পর্যন্ত আপাতত জারি থাকছে এই নির্দেশিকা। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা ভাবনা করে সকাল ৭টা থেকে ১১ এবং বারোটা থেকে চারটে পর্যন্ত বাজার হাট এবং দোকানপাট খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি শপিংমল হোটেল-রেস্তোরাঁ বার ও খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার।
তবে ভিড় এড়াতে বলা হয়েছে।
তবে দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বন্ধ থাকার কারণে দেখা দিয়েছে দোকানদার এবং সাধারণ মানুষের দের সংসারে অর্থনৈতিক সংকট । টানা প্রায় দুই বছর ধরে চলা কার্যত লকডাউনে অর্থসংকটে প্রত্যেকে। দোকানপাট খুললেও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ছাড়া কেনাকাটার জন্য বাজারে আসছে না কেউই। সাধারণ মানুষ এবং ব্যবসায়ীদের কথা ভাবনা চিন্তা করে অর্থ সংকট কাটাতে রাজ্য সরকার ব্যবসায়ীদের জন্য দোকান খোলা এবং বন্ধ করার সময় নির্ধারিত করেছেন। কিন্তু তাতে লাভের লাভ কিছুই হয়নি। করোনার এই মহামারীর সময় কালে অনেকেই কাজ হারিয়েছেন। মুখ থুবড়ে পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য।
আর সেই কারণেই অর্থনৈতিক সংকটে গোটা বাংলা। সরকার নির্ধারিত সময়ে দোকান খোলা থাকলেও ব্যবসা নেই। শিলিগুড়ি হংকং মার্কেট পুরোপুরি নির্ভর করে পর্যটকদের ওপর। কিন্তু কোথায় পর্যটক? আর সেই কারণেই নেই বেচাকেনা, শিলিগুড়ির শেঠ শ্রিলাল মার্কেট, বিধান মার্কেট সহ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে একটা বিষয় জানা গিয়েছে খুব প্রয়োজনীয় জিনিস ছাড়া কেনাকাটা করতে কেউ আসছেন না।
ব্যবসায়ীরা বলেছেন সরকার যে সময় দিয়েছে সেই সময় মতো দোকান খোলা হছে বটে। কিন্তু ক্রেতারা না আসায় তাদের অনেকের বউনি পর্যন্ত হচ্ছে না। আসলে মানুষের কাছে টাকা নেই। চালডাল মুদিখানার দ্রব্য সামগ্রী এবং খুব প্রয়োজনীয় পোশাক ছাড়া বাজার মুখো হচ্ছে না কেউই। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মুখে ব্যবসায়ীরা। কবে মিটবে এই সংকট তা আদেও বুঝে উঠতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। সোমবার রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে কড়া বিধিনিষেধ জারি থাকবে পহেলা জুলাই পর্যন্ত। ফলে জুন মাসটা যে অর্থনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যেই কাটবে ত পরিষ্কার।