দেবাশিস দাস,৪আগস্ট,রায়গঞ্জ: ল্যাপটপ চুরির অভিযোগ ওঠার পরেই এক ছাত্রের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ও চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ থানার কসবা এলাকায়। মৃত ছাত্রের নাম নিলয় বসু,বয়স ১৭ । মৃত ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ অলোক রায় নামে একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার এবং কৌশিক ঘোষ নামে এক শিক্ষক ও নিলয়ের কয়েকজন বন্ধু নিলয়কে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর সে আর বাড়ি ফেরেনি। এর পর মঙ্গলবার বিকেলে একটি বিলের কাছে গাছে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয় ওই ছাত্রের।
পরিবারের লোকেদের অভিযোগ নিলয়কে মেরে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। দোষীদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ মর্গে পাঠানোর পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কসবা এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার অলোক রায়ের বাড়িতে কৌশিক ঘোষ নামে একজন শিক্ষক ভাড়া থাকেন। ওই শিক্ষকের একটি ল্যাপটপ চুরি হয়। সেই ল্যাপটপ চুরির ঘটনায় এলাকারই বাসিন্দা নিলয় বসুর বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করে শিক্ষক কৌশিক ঘোষ। পুলিশ নিলয়ের বাড়িতে আসলেও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই চলে যায়।
অভিযোগ, এরপরই শিক্ষক কৌশিক ঘোষ এবং তাঁর বাড়িওয়ালা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার অলোক রায় সহ বেশ কয়েকজন নিলয়ের বাড়িতে এসে ল্যাপটপ বের করে দিতে বলে। এর পর নিলয়কে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে চলে যায় তারা। এরপর সারা রাত আর বাড়ি ফেরেনি নিলয়। এর পর মৃতদেহ উদ্ধার হয় নিলয় বসুর৷ মৃত নিলয়ের পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, ওই অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার এবং শিক্ষক কৌশিক ঘোষ লোকজন দিয়ে নিলয়কে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে৷
মৃত ছাত্র নিলয়ের পরিবারের তোলা সমস্ত
অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার অলোক রায়ের স্ত্রী। যদিও ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা হয়ে রয়েছেন ওই অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার অলোক রায় এবং তাঁর ভাড়াটিয়া শিক্ষক কৌশিক ঘোষ। তবে এটি একটি আত্মহত্যার ঘটনা নাকি খুন তা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।