Monday, December 11, 2023
Home উত্তরবঙ্গ অভাবে অর্থনৈতিক সংকটে দিন কাটছে শ্রমিকদের

অভাবে অর্থনৈতিক সংকটে দিন কাটছে শ্রমিকদের

শিলিগুড়ি,২৪মে,জয়ারায়,তন্ময়চক্রবর্তী: করোনার ভয়ে কাজে ডাকছে না কেউ। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজের আশায় বসে থেকে থেকে অবশেষে মন ভার করে খালি হাতে ফিরে যেতে হচ্ছে বাড়িতে। শিলিগুড়ির পার্শ্ববর্তী আমবাড়ি ফালাকাটা, ফুলবাড়ী বেলাকোবা সহ নানান এলাকা থেকে প্রায় শতাধিক মানুষ কাজের খোঁজে সাইকেলে ঝুড়ি,শাবল,বেলচা চাপিয়ে ফুলেশ্বরী মোড়,ইস্টার্ন বাইপাস,ঘুঘুমারি পাইপলাইন এলাকায় বসে থাকে । এই দিনমজুর শ্রমিকদের ডাকা হয় বাড়ির সামনে থেকে বালি পাথর সরানো, জঞ্জাল সরানোর পাশাপাশি রাজমিস্ত্রিদের সাথে ঠিকা শ্রমিকের কাজ করানোর জন্য।দুই হাজার কুড়ি সালের আগে পর্যন্ত তারা এই কাজ করে ঠিকঠাক জীবন যাপন করতেন।কিন্তু দুই হাজার কুড়ি সালে করোনা মহামারী আসার পর থেকেই ঝড় নেমেছে গোটা বিশ্বের সাথে দেশের পাশাপাশি রাজ্যেও। মাঝখানে কিছুটা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসলে আবারও সেই আগের পরিস্থিতিতে দাড়িয়ে আমারা। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে লকডাউন এবং নাইট কার্ফুর। জারি করা হয়েছে নানান বিধি নিষেধ।

অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ শপিংমল, সিনেমাহল, রেস্টুরেন্ট, বার, স্পা, বিউটি পার্লার। আর নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের যাতে কোনো অভাব দেখা না দেয় সেই কারণে বাজার খোলা থাকছে কেবল মাত্র সকাল 7 টা থেকে 10 টা পর্যন্ত। পাশাপাশি করোনার সংক্রমণ রুখতে
বিধিনিষেধ আরোপ হয়েছে পরিবহনেও। লোকাল ট্রেন, মেট্রো, বাস, লঞ্চ পরিষেবা স্তব্ধ।
এইরকম করাকরি লকডাউন পরিস্থিতিতে
বিনা কারণে বাড়ির বাইরে বেরোলোই পড়তে হচ্ছে পুলিশের খপ্পরে। এই পরিস্থিতিতে আর্থিক সমস্যায় পড়েছে সাধারণ মানুষ। আপাতত যেভাবে রয়েছে সেভাবেই থাকতে চাচ্ছে মানুষ। বিনা কারণে আর বাড়ির বাইরে বেরোচ্ছে না কেউ।
নতুন করে বাড়ি ঘর বানানো থেকে শুরু করে বাড়ির অন্যান্য আধুরা কাজ করাতেও চাইছেননা কেও । কারণ এই লকডাউন পরিস্থিতিতে আর্থিক সমস্যায় আছে অনেকেই। কেবলমাত্র দুবেলা দুমুঠো খাওয়া ছাড়া সৌখিনতা এখন আর কারো নেই।

এমন পরিস্থিতিতে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষেরা সাইকেলে ঝুড়ি,শাবল,বেলচা চাপিয়ে কাজ করার আশায় সকাল হতেই বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে ঠিকই । কিন্তু ফুলেশ্বরী মোড়,ইস্টার্ন বাইপাস,ঘুঘুমালি পাইপলাইন এলাকায় দুপুর পর্যন্ত বসে থেকে ওরা কাজের আশায় । কিন্তু কোন কাজ না পেয়ে। মুখ ভার করে সাইকেলে চেপেই বাড়ি ফিরে চলে যেতে হচ্ছে। দিন আনা দিন খাওয়া এই মানুষগুলো কাজ না পেলে তাদের সংসার চলবে কিভাবে? প্রতিদিনই দুবেলা-দুমুঠো খাবার তারা জোগাড় করতে হিমশিম? রাজ্য সরকার খাদ্যপণ্যের কিছু সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে বটে কিন্তু জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজন অর্থের। কেবল মাত্র চালডাল পেলেইতো আর সংসার চলে না। বাড়ির নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য প্রয়োজন নগদ অর্থের। কিন্তু কর্মহীন এই মানুষগুলো কিভাবে বাঁচবেন তানিয়েই চিন্তায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

একের পর এক বেআইনি নির্মাণ ভাঙা হচ্ছে শিলিগুড়িতে।

নিজস্ব সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি ২৫ নভেম্বরঃ ফের অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দিল শিলিগুড়ি পুর নিগমএকের পর এক শহরে গজিয়ে ওঠা অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে শিলিগুড়ি...

ভয়া*বহ আ*গুন আসানসোলের কুলটি স্টেশনে।

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা ২৫ নভেম্বরঃ শনিবার সকালে ভয়াবহ আগুন লেগে গেল আসানসোলের কুলটি স্টেশনে। আসানসোল রেল ডিভিশন সূত্রে দাবি, এই ঘটনায় কোন হতাহতের খবর...

এ এক আশ্চর্য রহস্য! জিপিএস সিগন্যাল হারিয়ে ফেলছে ভারতীয় বিমান!

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা ২৫ নভেম্বরঃ মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে জিপিএস সিগন্যাল হারিয়ে ফেলছে ভারতীয় বিমানগুলো, ঘনাচ্ছে রহস্য।এ এক আশ্চর্য রহস্য! মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে ওড়ার সময় অনেক ক্ষেত্রেই জিপিএস...

গোষ্ঠীকোন্দল মেটাতে বঞ্চিত’দের কাছে টানলেন মমতা!

নিজস্ব সংবাদদাতা,কলকাতা ২৪ নভেম্বরঃ 'বঞ্চিত’দের কাছে টানলেন মমতা, লোকসভার আগে গোষ্ঠীকোন্দল মেটাতে আসরে তৃণমূল নেত্রী।সামনেই লোকসভা ভোট। তাঁর আগে জেলায় জেলায় কর্মীদের অন্তর্কলহ প্রকাশ্যে...

Recent Comments